×

সারাদেশ

৩ একর পাহাড়ি ভূমি থেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৩, ১০:০৮ পিএম

৩ একর পাহাড়ি ভূমি থেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি: ভোরের কাগজ

৩ একর পাহাড়ি ভূমি থেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ
৩ একর পাহাড়ি ভূমি থেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ
৩ একর পাহাড়ি ভূমি থেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ
৩ একর পাহাড়ি ভূমি থেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ

চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানাধীন বেলতলীঘোনা এলাকায় পাহাড় রক্ষায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত রবিবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। অভিযানকালে ইতিপূর্বে পাহাড় কেটে নির্মাণ করা অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ ৩৫০টি স্থাপনা উচ্ছেদসহ উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় তিন একর সরকারি খাস জমি। এছাড়া, অভিযানে পাহাড় কাটার ১৫টি হটস্পট চিহ্নিত করাসহ পাহাড় ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের এনডিসি (নেজারত ডেপুটি কালেক্টর) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত আকবর শাহ থানাধীন ফয়েজ লেক সংলগ্ন বেলতলীঘোনা এলাকায় পাহাড় কেটে নির্মিত স্থাপনা ও ঘর উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের চারজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৬তম তম সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নির্দেশে পাহাড় ও প্রকৃতি রক্ষায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি), কাট্টলী সার্কেল মো. উমর ফারুক, সহকারী কমিশনার (ভূমি), চান্দগাঁও সার্কেল মো. মাসুদ রানা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি), বাকলিয়া সার্কেল জামিউল হিকমাহ।

উচ্ছেদ অভিযানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ৮০ জন ফোর্স, আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসান, র‍্যাব-৭ এর দুটি টিম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, পিডিবির টিম, কর্ণফুলী গ্যাস প্রতিনিধি, ওয়াসা প্রতিনিধি ও ৪০ জন আনসার বাহিনী উপস্থিত ছিলেন।

পাহাড়ের অবৈধ ও বিধি-বহির্ভূতভাবে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে স্থাপনা উচ্ছেদের প্রথম ধাপে চট্টগ্রাম মহানগরীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা আকবর শাহ থানাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে ২০১৮, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ সালে আকবর শাহ এলাকাতেই শুধু পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঘটেছে। বিভিন্ন এনজিও এবং ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের রমরমা কার্যক্রমে আকবর শাহ এলাকার পাহাড় সমূহে ঘরবাড়ি স্থাপনসহ অপরাপর বসবাসের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ বস্তিগুলোতে বিভিন্ন দাতা ও দাতব্য সংস্থার ব্যাপক কার্যক্রম চলছে। এখানকার ড্রেন (নর্দমা), টয়লেট (প্রক্ষালন কক্ষ), রাস্তা (সড়ক) এমনকি স্কুলিং কার্যক্রম তাদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়।

রবিবার উচ্ছেদ অভিযানের পর জায়গা যাতে পুনরায় অপদখল না হয় এজন্য পিলার ও কাঁটাতারের বেষ্টনি স্থাপন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, যেসব ব্যক্তি পাহাড় কেটে সেখানে অবস্থান করেছে ও করছেন তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আলাদা নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। এর আগে গত ৬ জুলাইও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল বেলতলীঘোনা এলাকায়।

মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত ৬ ও ৯ জুলাই পাহাড়তলী মৌজার ফয়েজ লেক এলাকা ও উত্তর পাহাড়তলী এলাকার বেলতলীঘোনা এলাকায় মোট ১৫টির মতো পাহাড় কাটার হটস্পট চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ। এসব হটস্পটে পাহাড় কেটে যেসকল ব্যক্তি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আকবর শাহ থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পাহাড় রক্ষায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়বেষ্টিত এলাকা আকবর শাহ, খুলশী, সীতাকুণ্ড, বায়েজিদ থানাসহ অপরাপর সব পাহাড়ি এলাকার অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App