×

সারাদেশ

নান্দাইলে অবৈধ সিসা কারখানা, হুমকিতে জনজীবন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৩, ১১:২২ পিএম

নান্দাইলে অবৈধ সিসা কারখানা, হুমকিতে জনজীবন

ছবি: ভোরের কাগজ

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে অবৈধভাবে একটি কারখানায় সিসা তৈরির খবর এসেছে। উপজেলা আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই টঙ্গীচর নামক এলাকায় এই কারখানার অবস্থান।

সিসা তৈরির কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে আশেপাশের এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই কারখানায় রাতের অন্ধকারে ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করা হয়। এতে ব্যাটারির এসিডের তীব্র গন্ধে ভারী হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকা। কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। কারখানার পরিচালক বলছেন, এই কাজ তারা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করেই করেন।

অপরদিকে প্রশাসনের ভাষ্য, এই এলাকায় এই ধরনের তালিকাভুক্ত কোনো কারখানা নেই। এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নান্দাইল পৌর এলাকার আমোদাবাদ কান্দাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আশেদ আলীর ছেলে মো. আনোয়ার সোহেল মিয়ার একক নেতৃত্বে কৃষিখামারের বিশাল জায়গা ভাড়া নিয়ে গড়ে তুলছেন এই কারখানা। বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরাতন ব্যাটারি ও চোরাই ব্যাটারি সংগ্রহ করে এখানে আনা হয়। রাতে এসব ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করা হয়।

এর আগে সোহেল মিয়ার বাড়ির পাশে একটি কারখানা গড়ে উঠলেও স্থানীয় মানুষের বাধার কারণে সেটি বন্ধ রয়েছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, কারখানার ভেতরে শ্রমিকেরা কাজ করছেন। কেউ পুরনো ব্যাটারির ওপরের অংশ খুলে প্লেট (ব্যাটারির ভেতর থাকা পাত) বের করছেন। কেউ ব্যাটারি থেকে এসিড বের করে সংরক্ষণ করছেন।

কারখানার পরিচালক সোহেল মিয়া বলেন, এই কাজ আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমেই করি।বিভিন্ন জায়গায় থেকে আসা এই কারখানার শ্রমিক আসাদুল বলেন, ‘আমরা ১১ জন ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করার জন্য এখানে এসেছি। কাজের ভিত্তিতে মজুরিতে কোনো দিন ৩০০ টাকা কোনো দিন ৪০০ টাকা পাই।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘রাত হলে এখানে ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করার বিকট শব্দ শোনা যায়।’

কারখানার মালিক সোহেল মিয়ার কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এই প্রতিনিধিকে তিনি জবাব দেন, ‘সাংবাদিক কেরে আয় বুঝি। কত টাকা লাগব বলেন।’

এখানে চোরাই ব্যাটারি কোথা থেকে আনা হয় জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘চোরাই মাল আমি কিনি না।’

ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মুনসুর বলেন, ‘আমাদের কাছে এই এলাকায় এই ধরনের তালিকাভুক্ত কোনো কারখানা নেই। তারা প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন। তবে এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App