×

সারাদেশ

সেতু নির্মাণের দেড় মাসের মাথায় সড়কে ধস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৩, ০৩:২২ পিএম

সেতু নির্মাণের দেড় মাসের মাথায় সড়কে ধস
নির্মাণকাজ শেষের দেড় মাসের মাথায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সেতুর সংযোগ সড়কে। গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে ধসে গেছে সেতুর দুইপাশের সংযোগ সড়ক। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। দ্রুত মেরামত করা না হলে বৃষ্টিতে যেকোনো সময় একেবারে ভেঙে চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। পাবনার চাটমোহর উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের মাঝগ্রামে চিকনাই নদীর শাখার উপর নবনির্মিত সেতুর এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি সরেজমিন পরিদর্শন করে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাঝগ্রামে চিকনাই নদীর শাখার উপর পুরাতন সেতু ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সেখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৮০ লাখ ২১ হাজার ৭১১ টাকা ব্যয়ে মুলগ্রাম ইউনিয়নের মাঝগ্রাম জোলার উপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। কাজটির মুল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পাবনার সুজানগরের মেসার্স তীর্থ করবি এন্টারপ্রাইজ। পরে তার কাছ থেকে কিনে কাজটি সম্পন্ন করেছেন চাটমোহরের ঠিকাদার মেসার্স সাফায়েত এন্টারপ্রাইজ। সেতুটির দুই পাশের মাজগ্রাম, রতনপুর, কুবিরদিয়ার, দাঁথিয়া কয়রাপাড়া, বাহাদুরপুর, মথুরাপুর, আনকুটিয়া, অমৃতকুন্ডা সহ অন্তত দশটি গ্রামের মানুষ এই পথে যাতায়াত করেন। আশপাশে রয়েছে-একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা, কবরস্থান, একটি উচ্চ বিদ্যালয, অমৃতকুন্ডা হাট সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। মাঝগ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম দুলু বলেন, সরকার জনগণের সুবিধার জন্য কাজ করে। কিন্তু ঠিকাদার কিভাবে কাজ করলো আমরা বুঝলাম না। ব্রিজ করলো কিন্তু সংযোগ সড়কটা ঠিকমতো করলো না। দেড় মাসের মধ্যে একটু বৃষ্টিতেই ভেঙে যাচ্ছে। আর একটু বৃষ্টি হলে তো চলাচল করা যাবে না। এদিক দিয়ে স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। অমৃতকুন্ডা হাটে যায় মানুষ। ব্রিজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। কিন্তু ব্রিজ ভাল হলেও সংযোগ সড়কটা ঠিকমতো না করে দায়সারাভাবে কাজ করা হয়েছে। এজন্য কিছুদিনের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে। আবার পুরাতন ব্রিজটা ভাঙার পর রড খুলে নিয়ে গেলেও অন্যান্য অংশ নদীর মধ্যে ফেলে রেখে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারের নিম্নমানের কাজের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, সংযোগ সড়কের দুই পাশে স্থায়ী গাইডওয়াল নির্মাণ করা না করে যেনতেনভাবে মেরামত করা হলে আবারো ধসে যেতে পারে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীম এহসান বলেন, এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমি ছুটিতে আছি। ফিরে এসে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাফায়েত এন্টারপ্রাইজের মালিক সিরাজুল ইসলাম নিম্নমানের কাজের অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, বৃষ্টিতে সংযোগ সড়কের ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অনান্যরা ঘটনা পরিদর্শন করেছেন। বৃষ্টি থামলে একটা ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ মহল বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি কি করা যায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App