×

সারাদেশ

লৌহজংয়ে কুকুরের কামড়ে আহত অর্ধশতাধিক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৩, ০৯:৪৬ এএম

লৌহজংয়ে কুকুরের কামড়ে আহত অর্ধশতাধিক

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই ভ্যাকসিন

লৌহজংয়ে গত কয়েক দিনে কুকুরের কামড়ে অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জলাতঙ্ক রোগের টিকা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা হলেও সেখানে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক না থাকায় বাধ্য হয়ে কুকুরে কামড়ানো রোগীদের ছুটতে হয় প্রাইভেট হাসপাতাল ও ফার্মেসিতে।

জানা গেছে, গত কয়েক দিনে উপজেলায় কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে শিশু নারী ও বৃদ্ধসহ ৫০-৬০ জন হাসপাতালে এসেছেন। উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের মাইজগাঁও গ্রামের মো. ইয়াসিন খান বলেন, কুরবানি ঈদের ৩ দিন পর আমাকে কুকুরে কামড় দিয়েছিল। আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে শুনি এখানে ভ্যাকসিন নেই? বাধ্য হয়ে ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন দিয়েছি। যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন থাকতো তাহলে আমার এত কষ্ট করতে হতো না।

ধারারহাট এলাকার দিদার হাওলাদার বলেন, আমার মেয়েকে কুকুরে কামড় দিয়েছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তারা আমাকে বলেন, এখানে কুকুরে কামড়ের ভ্যাকসিন নেই। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, লৌহজং থেকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ২৫-৩০ কিমি। যাতায়াত ভাড়া আসা যাওয়া ৫শ টাকার উপর হবে। তাই বাধ্য হয়েই ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন দিয়েছি।

জিয়াউর রহমান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যদি কুকুরে কামড়ানো রোগীদের ভ্যাকসিন দিত তাহলে এতটা হয়রানি হতো না।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুস সালেহীন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানো রোগীর প্রতিষেধকের সরবরাহ নেই। কারণ হচ্ছে, একটি ইনজেকশন ৪ জন রোগীকে দেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একসঙ্গে ৪ জন রোগী কখনোই হয় না। তাই শুধুমাত্র সদর হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানো রোগীর প্রতিষেধক পাওয়া যায়। তাই তাদের সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App