×

সারাদেশ

বাউফলে বিচার চাইতে এসে হাজতবাস!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৩, ১১:০৩ পিএম

বাউফলে বিচার চাইতে এসে হাজতবাস!
বাউফল থানার ওসির কাছে বিচার চাইতে এসে ১৫ ঘন্টা হাজতে কাটালেন এক বাবা, তার ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে, শ্যলক ও অভিযুক্ত এক ব্যক্তি। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছেলেকে মারধর করার বিচার চাইতে পটুয়াখালীর বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাকডাল গ্রামের পারভেজ মিয়া (৩৮) তার ছেলে কর্ণর মিয়া (১২) ও শ্যালক রাকিবকে (২৫) নিয়ে সোমবার (৩ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হকের কাছে প্রতিপক্ষ আব্বাস হাওলাদার ও তার ছেলে অপুর বিরুদ্ধে বিচার চাইতে আসেন। ওইসময় তার স্ত্রী সীমা বেগমও (২৭) সাথে ছিলেন। তাদের থানায় আসার খবর পেয়ে প্রতিপক্ষ অব্বাস হাওলাদার থানায় আসেন। এরপর ওসি ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া কর্ণর, বাবা পারভেজ, মামা রাকিব ও অভিযুক্ত আব্বাস হাওলাদরকে ওসির অফিস কক্ষের সামনে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে বাহির থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকজন পুলিশ শিশু কর্ণরকে চিকিৎসার জন্য মটর সাইকেলযোগে গোরস্তান রোড এলাকার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে থানায় নিয়ে আসেন। থানা থেকে কর্ণরকে তার মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দিলেও অন্যদের ওই রুমের মধ্যে আটকে রাখা হয়। এরপর রাতে তাদেরকে থানা হাজতে নিয়ে রাখা হয়। আজ মঙ্গলবার বাউফল থানার এসআই বাদল কৃষ্ণ বাদী হয়ে পারভেজ মিয়া, শ্যালক রাকিব এবং আব্বাসকে ১৫১ নম্বর ফৌজদারী ধারায় আসামি করে একটি মামলা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় পটুয়াখালী আদালতে পাঠানো হয়। পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মো. জামাল হোসেন ওই দিনই দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন এবং বিকাল ৪টায় আসামিরা কোর্ট হাজত থেকে ছাড়া পান। আসামী পক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সোমবার বিকাল ৫টার দিকে বাউফলের কাছিপাড়া শহীদ জালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে আব্বাস হাওলাদার ও পারভেজ হাওলাদারের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করে। এই মামলায় আব্বাস হাওলাদার, রাকিব হাওলাদার ও পারভেজ মিয়াকে আসামি করা হয়। ফুটবল খেলায় পারভেজ মিয়ার ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে কর্ণরকেও মারধর করা হয়। আসামিদের বক্তব্য সত্য হলে তাদেরকে পুলিশের হয়রানি করা ঠিক হয়নি। পারভেজ মিয়ার স্ত্রী সীমা বেগম বলেন, তার স্বামী ও ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ জানাতে ওসির কাছে আসেন। তিনি অভিযোগ না নিয়ে উল্টো তার স্বামী, ছেলে, ভাই এবং প্রতিপক্ষ আব্বাস হাওলাদারকে আটকে রাখেন। আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে ইচ্ছা করে আমার স্বামী, সন্তান ও ভাইকে আটকে রাখেন। পরে শুনলাম পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে। আর সেই মামলায় তাদেরকে কোর্টে চালান করা হয়েছে। আমি ওসির নির্দয় আচরণের বিচার চাই। বাউফল থানার ওসি আরিচুল হক বলেন, ফুটবল খেলায় মারামারি হচ্ছে এই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আব্বাস হাওলাদার, রাকিব হাওলাদার, পারভেজ মিয়া ও তার ছেলে কর্ণরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর মধ্যে শিশু কর্ণরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অন্যাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App