২৬ বছর পর মুক্তি পেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৩, ০৯:১০ পিএম
বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এসময় কারাগার ফটকে তাকে ফুল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় সভাপতি মো:হুমায়ুন কবির চেয়ারম্যান ও জেলা সভাপতি তারিকুল ইসলাম জুয়েলসহ পরিবারের সদস্যরা বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহাকে শুভেচ্ছা জানান।
রবিবার (২জুলাই) সকাল ১১টায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুক্তির আদেশ নামা আসে। বিকেলে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান এ বীরমুক্তিযোদ্ধা। দীর্ঘ ২৫ বছর ৭ মাস ২৬ দিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শেষ করে বের হলেন।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে যখন কোনো যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হয়নি তখন বীরমুক্তিযোদ্ধা রাখাল নাহার ফাঁসি হয়। আর তাই তারা আন্দোলন করেন। আজ যখন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হয়েছে বীরমুক্তিযোদ্ধা রাখাল নাহার মুক্তি পান, এতে সকলে আনন্দিত। কল্পনা ছিলো না ফিরে আসবেন। কল্পনাবিহীন ফিরে সকলের কাছে কৃতজ্ঞা জানাতে ভুলেনি এ বীরমুক্তিযোদ্ধা।
১৯৯৯ সালের একটি ষড়যন্ত্রমূলক খুনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন দেবিদ্বার হোসেনপুরের বীরমুক্তিযোদ্ধা রাখাল নাহার। তিনি ওই গ্রামের অক্ষয় চন্দ্র নাহার ছেলে। ওই হত্যা মামলার ঘটনার দিন তিনি বাড়ি ছিলেন না। হতদরিদ্র বীরমুক্তিযোদ্ধা রাখাল নাহাকে ২০০৩ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম এর আবেদনের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি দেশের এ বীর সেনানীকে সাজা মওকুফ করে যাবজ্জীবন দেয়।
৫ বছর ৭ মাস ২৬ দিন রেয়াত সহ রাখাল নাহার মুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে ২০১৫ সালে। অথচ তিনি মুক্তি পাননি।
অবশেষে জেল গেইটের তালা খুললো রবিবার বিকেল ৪টায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে বের হলেন-বীরমুক্তিযোদ্ধা রাখাল নাহা।
এর আগে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাহাকে দেখতে গিয়েছিলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম।