×

সারাদেশ

চট্টগ্রামে নির্ধারিত জায়গা করে দিলেও যত্রতত্র পশু কুরবানি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৩, ০৫:৪৪ পিএম

চট্টগ্রামে নির্ধারিত জায়গা করে দিলেও যত্রতত্র পশু কুরবানি
চট্টগ্রামে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালিত হয়েছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এবারও চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনার পাশাপাশি সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় নগরীর ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করেন-খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী। এসময় ঈদের নামাজ আদায় করেন-শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, জাতীয় পার্টি নেতা ও দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারি কনসাল জেনারেল সোলায়মান আলম শেঠ, সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির নেতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ। জমিয়াতুল ফালাহ্ মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় জামাত। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আহমদুল হক। ঈদের নামাজের পরই আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কুরবানি করা হয়েছে নগরের বিভিন্ন স্থানে। জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির উদ্যোগে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনে সকাল ৮টায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইমামতি করেন বাইতুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা অধ্যক্ষ ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান। উভয় ঈদের জামাত শেষে খুৎবা পাঠ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। মোনাজাতে যেকোনো বিপদ থেকে দেশকে হেফাজতের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা হয়েছে। ঈদের খুৎবা-পূর্ব বয়ানে খতিব কুরবানির গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করেন। নামাজের পর একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এদিকে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া পাড়া ও মহল্লার জামে মসজিদ এবং সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১৬৪টি জামে মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির উদ্যোগে প্রায় শতাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নগরের লালদীঘি শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফিন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুর বাজার জামে মসজিদ, মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের নামাজের পরই আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে পশু কুরবানি করা হয় নগরের বিভিন্ন স্থানে। চসিকের পক্ষ থেকে পশু জবাইয়ের জন্য নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ৩০৪টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও যত্রতত্র কোরবানি দিতে দেখা গেছে। এমনকি নগরীর বিভিন্ন সড়কে ও ফুটপাতে পশু জবাই ও এর আবর্জনা ফেলে যেতে দেখা গেছে কিছু অবিবেচক নগরবাসীকে। কেউ কেউ নিজের বাড়ির আঙ্গিনা বা ভবনের নীচে কুরবানি দিলেও তা ঠিকভাবে পরিস্কার না করায় একই বাড়ি বা ভবনের বাসিন্দাদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো: রেজাউল করিম চৌধুরীর ঘোষণা অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগ কুরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App