×

সারাদেশ

১৪ বছর পর পলাতক ২ রাজাকার গ্রেপ্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৩, ১১:১৫ পিএম

১৪ বছর পর পলাতক ২ রাজাকার গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

মামলার ১৪ বছর পর পলাতক রাজশাহীর চারঘাটে দুই রাজাকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাত একটার দিকে চারঘাটের কালুহাটি গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ের করা বিচারাধীন মামলার আসামি তারা। শনিবার (২৪ জুন) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার কালুহাটি গ্রামের মৃত হাবিল উদ্দিনের ছেলে মফিজ উদ্দিন (৭৫) ও মৃত মকছেদের ছেলে খেতাব (৮০)। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে চারঘাট মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলার পেনাল কোর্ডের এজাহার নামীয় পলাতক আসামি মফিজ উদ্দিন ও খেতাব দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তারা এলাকায় ফিরে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

মাসুদ হোসেন বলেন, এদের মধ্যে আটককৃত খেতাব এলাকায় কুখ্যাত রাজাকার হিসেবে পরিচিত এবং ১৯৭১ সালে চারঘাট থানা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। তাদেরকে রাজশাহী আদালতের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যানালে হস্তান্তর করা হবে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, এই মামলায় ছয়জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন ও তিনজন পলাতক ছিলেন। পলাতক তিনজনের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এখনো একজন পলাতক আছেন।

এসপি জানান, রাজশাহীতে মানবতাবিরোধী অপরাধ আইনে ১৭টি মামলা হয়। এসব মামলায় আসামি করা হয় ১৩২ জনকে। তাদের মধ্যে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পলাতক রয়েছে দুজন। বাকিরা জামিনে ও একটি মামলায় সাজা হয়ে কারাগারে আছেন একজন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন চারঘাট থানা এবং সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় রাজাকার খেতাব, মফিজ ও তাদের অপরাপর সহযোগীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে তারা অনেকের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছিল এবং নৃশংসভাবে মুক্তিকামী জনগণকে হত্যা করেছিল। এসব ঘটনায় চারঘাট উপজেলার কালুহাটি গ্রামের শহীদ রওশন আলী সরকারের ছেলে গোলাম হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার বাদী চারঘাট থানার অভিযোগ করেন তার পিতা শহীদ রওশন আলী সরকার ও রোস্তমপুর গ্রামের কলিম উদ্দিনকে তাদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আটক করে বিবস্ত্র করে গাড়ির পেছনে বেঁধে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। এর পাশাপাশি বাদীসহ তাদের প্রতিবেশী অনেকের বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ করেছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App