×

সারাদেশ

অ্যাম্বুলেন্সের আগুনে আলফাডাঙ্গায় মা-ছেলের মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম

অ্যাম্বুলেন্সের আগুনে আলফাডাঙ্গায় মা-ছেলের মৃত্যু

ছবি: ভোরের কাগজ

অ্যাম্বুলেন্সের আগুন লেগে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মালীগ্রামে অ্যাম্বুলেন্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগে মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে আরো পাঁচজন যাত্রী সর্বমোট সাতজন এ দুর্ঘটনার নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কুচিয়াগ্রামের সেনা সদস্য মাহমুদুল মুন্সী রনি’র স্ত্রী বিউটি পারভীন (২৮) ও ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত (৯)। অপরদিকে, বাকি পাঁচজন নিহতরা সেনা সদস্য রনির শ্বশুর বাড়ির লোকজন। বোয়ালমারী উপজেলার গুণবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামের বাসিন্দা তারা। শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১ টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মালিগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গত একমাস আগে বিউটি পারভীনের মাতা তাসলিমা বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসায় ছিলেন। মাকে সেবা করার তাগিদে মেয়ে বিউটি পারভীন মায়ের সাথে ছিলেন। একমাস পর বিউটি পারভীনের মা কিছুটা সুস্থ হলে একটি অ্যাম্বুলেন্সে যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনা হলে ম মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে তারা।

ভাঙ্গা উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. আবু. জাফর বলেন, খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌছায়। তবে তার আগেই নিহতদের মরদেহগুলো পুড়ে নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে হাড়গুলো শুধু অবশিষ্ট রয়েছে। মরদেহের পড়া গন্ধে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক ভোরের কাগজকে বলেন, এ ঘটনা খুবই মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক ঘটনা, যা সহ্য করার মতো নয়। তবে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তাদের এই বিপদের সময় উপজেলা প্রশাসন পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ সুপার মাহবুব আলম ভোরের কাগজকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে এতে আগুন ধরে যায়। চালকের পাশের জানালাটি খোলা ছিল। এছাড়া সব জানালা আটকানো ছিল। চালক রক্তাক্ত অবস্থায় বের হয়ে এলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্সে আটকেপড়া সাতজনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ভোরের কাগজকে বলেন, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) বিপুল চন্দ্র দে’কে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এছাড়া নিহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে এবং আহতকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

এই মৃত্যুর ফলে আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারীতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজনদের হৃদয় বিদারক কান্না ও আহাজারিতে এলাকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App