×

সারাদেশ

নিষেধাজ্ঞার সুযোগে সাগরে ভারত-মিয়ানমারের জেলেদের রাজত্ব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৩, ০৭:৪৪ পিএম

নিষেধাজ্ঞার সুযোগে সাগরে ভারত-মিয়ানমারের জেলেদের রাজত্ব

সাগরে বাংলাদেশিদের জন্য চলছে নিষেধাজ্ঞা। এ সুযোগে সাগরে রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে ভারত ও মায়ানমার জেলেরা। ফাইল ছবি

সাগরে বাংলাদেশিদের জন্য নিষেধাজ্ঞা থাকালেও রাজত্ব করছে ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা।

কর্মহীন বাংলাদেশের মৎসজীবীরা। তাই সামুদ্রিক মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞা কোন কাজেই আসছেনা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে একেরপর এক নিষেধাজ্ঞায় দিশেহারা জেলেরা। কর্মহীন জেলে পরিবার গুলোতে চলছে হাহাকার।

বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৪৭ দিন ঘাটে নোঙর করে থাকতে হয় উপকূলের জেলেদের। এসময় বেকার কাটাতে হয় তাদের। যার কারণে ঋণের বোঝা পিছু ছাড়ছেনা তাদের।

মা ইলিশ ধরায় ২২দিন, ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণে ৮ মাস, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অভায়শ্রমে এবং সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা সহ বছরে ১৪৭ দিন সাগর ও নদীতে নিষেধাজ্ঞা থাকে।

সমুদ্রে মাছ শিকারের ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। তাই ঘাটে বসে আছেন দেশের জেলেরা। কিন্তু বঙ্গোপ সাগরে মাছ শিকার করছেন পাশ্ববর্তী দেশের জেলেরা। জেলেদের অভিযোগ, প্রতিবারই বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার সুযোগে সমুদ্র দাপিয়ে বেড়ায় ভারত ও মায়ানমারের জেলেরা। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় কর্মহীন বাংলাদেশি জেলেরা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করলেও সমুদ্র থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছেন অন্যরা। তাই শুরু থেকেই এ নিষেধাজ্ঞার বিরোধীতা করে আসছেন জেলে ও মৎস্যজীবীরা।

নাসির মৃধা, মৎস্য ব্যবসায়ী কোড়ালীয়া মৎস্য পল্লী থেকে জানান, সরকার অবরোধ দিলেই আমরা সাগর থেকে চলে আসি মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য। যখন অবরোধ শেষ হয় আমরা বুক ভরা আশা নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে যাই। যখন সাগরে জাল ফালাই জালে আর মাছ ধরা পরে নাহ। কেমনে পড়বে মাছ ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা আগেই ধরে নিয়ে গেছে। আমাদের বুকভরা কান্না ছাড়া আর কিছুই থাকে নাহ।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, একই সাগরে দুই নিয়ম চলতে পারেনা। পার্শবর্তী অন্য দেশের জেলেরা মাছ ধরায়, বঙ্গোপ সাগর জালমুক্ত থাকছেনা। তাই এই নিষেধাজ্ঞার উপকারীতা দেখছেননা তারা। সামুদ্রিক মাছের নিরাপদ প্রজননের জন্য সমুদ্র জালমুক্ত রাখতে পার্শ্ববর্তী দেশ গুলোর সাথে সমন্বয় করে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা নির্ধারণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছের প্রজননের সঠিক সময় চিহ্নিত করতে নতুন করে গবেষণা করা দরকার বলেও জানান মৎস বিশেষজ্ঞরা।

মৎস জীববিজ্ঞান এবং জেনেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আরিফুল আলম বলেন, যারা নীতি নির্ধারক আছে এ বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে আন্ত দেশীয় ভারত এবং বাংলাদেশের সাথে যৌথ আলোচনা সাপেক্ষে একই সময়ে অবরোধ দিতে পারে। তাহলে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের জেলেই উপকৃত হবে।

মো. কামরুল ইসলাম , জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয় নিয়ে মৎস প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হয়তোবা অদূর ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশ এবং ভারতের সাথে একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে মনেকরি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App