×

সারাদেশ

কুতুবদিয়ায় খাল ভরাট করে লবণ মাঠ তৈরি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৩, ০১:৪৭ পিএম

কুতুবদিয়ায় খাল ভরাট করে লবণ মাঠ তৈরি

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পিলটকাটা খাল ভরাট করে লবণের মাঠ তৈরির হিড়িক পড়েছে। এমনিতেই প্রতি বছর উপজেলার ভেতর দিয়ে বয়ে চলা একমাত্র খালটি ভরাট হয়ে অর্ধেকে ঠেকেছে। এর ফলে বৃষ্টির পানিসহ লবণ চাষে পানির মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।

কৈয়ারবিল ও লেমশিখালী- এই দুই ইউনিয়নের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুর দক্ষিণে রোড পাড়া নামক স্থানে উভয় পাশে স্থানীয় প্রভাবশালীরা সরকারি খাল দখল করে বাঁধ দিয়ে লবনের মাঠ তৈরি করায় এ সংকট আরো তীব্র হয়েছে।

সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গা প্রতি বছর ভরাট করে লবণের মাঠ তৈরি করা হলেও বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসছে না। বিষয়টি নিয়ে আবু শামা নামে স্থানীয় একজন বাসিন্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

আবু শামা বলেন, পিলটকাটা খাল ক্রমশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খালের অর্ধেকটা বাধ দিয়ে লবণের মাঠ তৈরি করে যাচ্ছে স্থানীয় ছৈয়দ আলম, আবু বকর, আব্দু শুক্কুর, নুরুল আলম, মফিজ আলমসহ বেশ কয়েক জন। চার ইউনিয়নে পানি চলাচলে একমাত্র খালটি ভরাট করায় তারা বাধা দিলেও কর্ণপাত করছেন না কেউ। তাই জনস্বার্থে তিনি অভিযোগ দিয়েছেন।

পার্শ্ববর্তী দোকানদার মোজাম্মেল হক জানান, প্রতিবছরই কিছু কিছু অংশ খালের দিকে ভরাট করে লবন মাঠ তৈরি করে যাচ্ছে একটি মহল। সৈয়দুল করিম নামের এক ব্যক্তি তার নিজের ৪ গন্ডা খালের দিকে ভরাট করে গাছ লাগিয়ে দখলে নিয়েছে।

স্থানীয় ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু আহমেদ বলেন, খাল এমনিতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সুযোগ বুঝে অনেকেই বাঁধ দিয়ে লবন মাঠ বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি। জনস্বার্থে পিলটকাটা খাল রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার তাগিদ দেন তিনি।

ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারি কর্মকর্তা রিদোয়ানুল মোস্তফা বলেন, নতুন করে খালে বন্দোবস্তি দেয়া বা নেয়ার সুযোগ নেই। পিলটকাটা খাল ভরাট হয়ে ক্রমেই সরু হচ্ছে। এটি সংস্কার করা প্রয়োজন। এর মধ্যে বাঁধ দিয়ে লবন মাঠ তৈরি করা হলে পানি চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটবে বলে তিনি মনে করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App