সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের দিন ভোট দেননি বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে তিনি এদিন ফুরফুরে মেজাজে নানা জায়গায় ঘুরে সময় কাটান। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি সিটি নির্বাচন বর্জন করেছে। এ অবস্থায় টানা দুবারের নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হকও এ নির্বাচনে অংশ নেননি।

গতকাল বুধবার সকালে ভোটগ্রহণ চলার সময় স্ত্রী শ্যামা হককে নিয়ে সিলেট শহর ছেড়ে দাদাবাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যান আরিফুল হক। উপজেলার উবাহাটা গ্রামে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটান। বিকালে কমলগঞ্জের শমসেরনগরে কুরবানির পশুর হাটে যান তিনি। সেখান থেকে কিনেন ২০টি ছাগল।

সকালে ভোট না দিয়েই সিলেট শহর ছাড়েন মেয়র আরিফ। সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের বাসা থেকে কমলগঞ্জের মুন্সীবাজার ইউনিয়নের উবাহাটা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে বের হন। মেয়রের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী শ্যামা হক ও ব্যক্তিগত ৩ কর্মকর্তা।

আরিফুল হকের ঘনিষ্ঠজন জুরেজ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন গ্রামের বাড়িতে আসা হয়নি মেয়রের। জ্যৈষ্ঠের আম-কাঁঠালের দাওয়াত দিলেও বাড়িতে আসার সুযোগ হয়নি। এবার নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় তিনি এখনো স্বপদে বহাল। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় তিনিও প্রার্থী হননি, তাই নির্বাচনের দিন তিনি হঠাৎই সপরিবারে দাদার বাড়ি বেড়ানোর পরিকল্পনা করেন। দুপুরের খাবার শেষে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে বিকালে কমলগঞ্জের শমসেরনগরে কুরবানির পশুর হাটে গিয়ে পছন্দের কিছু ছাগল কিনেন। সেখানে তাকে পেয়ে দলীয় নেতাকর্মী এসে ছবি তোলেন, সঙ্গ দেন।

মেয়র আরিফুল হকের চাচা স্থানীয় মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আরিফ সকালে বাড়িতে আসেন। বিকালে শমসেরনগর কুরবানির হাট থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকা দিয়ে ২০টি ছাগল কেনেন। সন্ধ্যার পর তিনি সিলেটের বাসায় ফিরে গেছেন। ভোট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সিসিক মেয়র ও বিএনপির নির্বাহী সদস্য আরিফুল হক বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি আমার দল নির্বাচনে যাবে না। গত ২০ মে সমাবেশ করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। এখন কাউকে সমর্থন দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।