নদী গর্ভে বিলিনের পথে বিঘা পর বিঘা ফসলী জমি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৩, ০৯:৪১ পিএম
টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ আর উজানের নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তায় হু হু করে বাড়তে থাকে পানি।
পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়ায় প্লাবিত হয় ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার কয়েকটি নিম্নাঞ্চল। বাড়ছে নদী ভাঙন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডালিয়া ডিভিশন অফিস সুত্রে যানা যায়, বুধবার (২১ জুন) সকাল ৬ থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ও সন্ধ্যা ৬টায় ৫২.১৫ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে৷
এদিকে, জেলার ডিমলা উপজেলার ঝাড়সিংহেশ্বর চর, বাইশপুকুর, পাগলপাড়া সহ বেশ কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার পথে বসেছে বিঘা পর বিঘা ফসলী জমি।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, ইউনিয়নের পানিবন্দী এলাকায় সবসময় খোঁজ-খবর রাখছি। নিম্নাঞ্চলে বসবাসরতদের উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে মাইকিং করা হয়েছে। পানি বন্দীদের মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ উদ দৌলা বলেন, “বর্তমানে তিস্তার পানি স্বাভাবিক রয়েছে। আজ সকাল ৬ থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ও বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ১০৮ মিলিমিটার"।
টানা ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দী দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। বিশুদ্ধ পানি আর খাবার সঙ্কটের মধ্যে নতুন করে যুক্ত হয়েছে তিস্তাবেষ্টিত এলাকাগুলোতে নদী ভাঙন। নদী গর্ভে বিলিন হতে বসেছে বিঘাময় ফসলী জমি। এ যেন মরার উপর ফোঁড়ার ঘাঁ।