×

সারাদেশ

মুখোমুখী আ.লীগ প্রার্থীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩, ০৯:৫৪ এএম

মুখোমুখী আ.লীগ প্রার্থীরা

ফাইল ছবি

বিএনপি জামায়াত নির্বাচনে অংশ না নিলেও রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে কাউন্সিলর প্রার্থীদের অসহিষ্ণু আচরণ। বিশেষ করে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই উত্তাপ ভোটের দিন সংঘাতে রূপ নিতে পারে- এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে একই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ দলীয় একাধিক প্রার্থী থাকা। গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে নগরীর ৫ থেকে ৭টি ওয়ার্ডে। উত্তাপ ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও। নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির বহিষ্কৃত ১৬ নেতা ও জামায়াতের অঘোষিত ৯ প্রার্থীও সহিংসতা ছড়াতে পারেন বলেও শঙ্কা জানিয়েছেন অনেকে।

রাজশাহীর নির্বাচন কমিশন অফিস জানিয়েছে, ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৭টি অতিঝুঁকিপূর্ণ। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) সূত্র বলছে, সুনির্দিষ্টভাবে অতি ঝুঁকিপূর্ণ কোনো কেন্দ্র চিহ্নিত করা যায়নি। তবে, গতবারের (২০১৮) নির্বাচনে বেশকিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল। সেবার যারা এই কাজগুলো করেছিল, এবারো তাদের অনেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এবং তাদের প্রতিদ্ব›দ্বীও একই। আবার বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের খুব কাছাকাছি প্রার্থীর বাসা, এমনও আছে। এসব কিছু বিবেচনা করে ৫টি ওয়ার্ডের ১০-১৫টি কেন্দ্র বিশেষ নজরদারিতে থাকবে। সেখানে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স। ঝুঁকি বিবেচনায় শহরের যে কোনো স্পটে নাশকতার খবর পেলে এক বা দুই মিনিটের মধ্যে যাতে পুলিশ পৌঁছাতে সেই প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

তথ্য বলছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টিতে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে ৫টি ওয়ার্ডে ৪ জন, ১টি ওয়ার্ডে ৩ জন ও বাকি ১৩টি ওয়ার্ডে ২ জন করে আওয়ামী লীগ নেতা ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। এই প্রার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ

নিজেকে দল সমর্থিত প্রার্থী বলে ঘোষণা করছেন। এসব প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। কোনো কোনো প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের হুমকি দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নগরের ৩, ৮, ১০, ১৮ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৪ জন করে নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ সমর্থক কামাল হোসেন, হাবিবুর রহমান ও মো. শামিম এবং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রার্থী হয়েছেন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর এস এম মাহবুবুল হক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক জানে আলম খান, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক শাহীদ হাসান ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহসভাপতি হারুন-অর-রশিদ।

১০ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ কর্মী মো. টনি, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক আহমেদ এবং সাবেক যুবলীগ নেতা আব্বাস আলী সরদার প্রার্থী হয়েছেন। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জুয়েল রানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের (দক্ষিণ) সহসভাপতি মো. ভুট্টু, থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম এবং মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি মোখলেসুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

২৬ নম্বর ওয়ার্ডে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মাসুদ রানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক আখতার আহমেদ, সমর্থক মখলেসুর রহমান ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের (পশ্চিম) সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বাবু প্রার্থী হয়েছেন। দল থেকে কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন না দিলেও আখতার আহমেদ দাবি করেছেন, তিনি দল সমর্থিত প্রার্থী। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও বর্তমান কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য শিহাব চৌধুরী এবং মহানগর তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোকশেদ উল আলম।

বাকি ১৩টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দুজন করে প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল হক এবং মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন। ইতোমধ্যে এ ওয়ার্ডে কয়েকবার আশরাফ হোসেন এবং তৌহিদুল হকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে তৌহিদুল হকের এক সমর্থকের হামলায় আশরাফ হোসেনের এক সমর্থক আহত হয়েছেন। এ সময় ছুরিকাঘাতে প্রার্থী আশরাফ হোসেন নিজেও আহত হন। এ ঘটনায় নগরের চন্দ্রিমা থানায় মামলা হয়েছে।

আশরাফ হোসেনের সমর্থকরা ঘটনার দিন তৌহিদুল হকের কার্যালয় ও তার সমর্থকের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ওই ওয়ার্ডে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল মমিন এবং মহানগর যুবলীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ রানা প্রার্থী হয়েছেন। এ ওয়ার্ডে আবদুল মোমিনের বিরুদ্ধে মাসুদ রানার কর্মী-সমর্থককে ভয় দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। ১১ জুন মোমিনের সহযোগীরা মাসুদ রানার নারী সমর্থকদের ওপর হামলা চালান বলেও অভিযোগ করেন মাসুদ রানা।

১৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন ও মুরাদ আলী। ইতোমধ্যে আনোয়ার হোসেনের সমর্থকরা মুরাদের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা নিযাম উল আযীম এবং মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি গোলাম ফারুক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতোমধ্যে এ ওয়ার্ডে নিযাম এবং ফারুকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ইতোমধ্যে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ঘটেছে আরো কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা। সম্প্রতি রাসিকের ১৯ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াও ৩, ৭, ১৪, ২৩ ওয়ার্ডে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার রাতে নগরীর বুধপাড়া এলাকায় মতিহার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আলাউদ্দিনের সমর্থকদের সঙ্গে জামায়াত কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকেই ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

৭নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ও জহিরুল ইসলাম রুবেলের সমর্থকদের মধ্যে গত শনিবার সন্ধ্যায় ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী মতিউরসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এই এলাকাটিতেও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এছাড়াও গত রবিবার মধ্যরাতে রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাসায় নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমনের প্রবেশের ঘটনা ঘিরেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর লিমনের মামা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগ উঠেছে, কাউন্সিলর প্রার্থীর হয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাকে ‘ম্যানেজ’ করতে গিয়েছিলেন লিমন।

স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা লিমন ওই নির্বাচন কর্মকর্তার বাসায় প্রবেশের পরপরই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে অবরুদ্ধ করেন। অবরোধকারীদের দাবি, লিমনের সঙ্গে আরো দুজন ওই বাসায় প্রবেশ করেন। লিমনকে বাসায় অবরুদ্ধ করার সময় একটি ব্যাগ নিয়ে মোটরসাইকেলে করে তারা পালিয়ে যান। পরে লিমনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হলেও গতকাল দুপুরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগের একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীর কারণে সহিংসতা ছড়াতে পারে কিনা? জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভোরের কাগজকে বলেন, নাশকতা ও অরাজকতার বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে। পাশাপাশি আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকবে। কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে, সে যে দলের হোক, জনগণ শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।

এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলী কামাল ভোরের কাগজকে বলেন, ওয়ার্ডে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী হতেই পারে। এখানে আমরা হস্তক্ষেপ করিনি। কারণ কাউকে নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করলে ৩-৪ জন করে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়িয়ে যেত। এতে মেয়র প্রার্থীর ক্ষতি হতো। ফলে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আমাদের অঙ্গ সংগঠনের একাধিক প্রার্থীকে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখছি। যার যার যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা অনুযায়ী কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে, নির্বাচনে কেউ যদি সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাহলে কোনোভাবেই তাকে ছাড় দেয়া হবে না। তাৎক্ষণিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। আমাদের মেসেজ স্পষ্ট, সহিংসতা অরাজকতা করলেই কঠোর ব্যবস্থা। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু ভোরের কাগজকে বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।

এদিকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক দেয়া হয়নি। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির ১৬ নেতা কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় তাদের আজীবনের জন্য বহিষ্কারে করে চিঠি দিয়েছে দল। বহিষ্কারাদেশ পাওয়া নেতারা হলেন- নগরীর রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বদিউজ্জামান বদি, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি ও কাউন্সিলর প্রার্থী আবু বকর কিনু, শাহমখদুম থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. টুটুল, শাহমখদুম থানার সাবেক সহসম্পাদক আবদুস সোবহান লিটন, নগর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বেলাল হোসেন, একই ওয়ার্ডের প্রার্থী ও নগর যুবদলের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক রনি হোসেন রুহুল।

এছাড়া নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুজ্জামান টিটু, ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী মির্জা রিপন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলিফ আল মাহমুদ লুকেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আনোয়ারুল আমিন আজব, মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আশরাফুল হাসান বাচ্চু, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৭, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কমিশনার প্রার্থী মুসলিমা বেগম বেলী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও ৯, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আলতাফুন নেসা পুতুল, যুগ্ম সম্পাদক ও ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সামসুন নাহার, সহসভাপতি ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শাহানাজ বেগম শিখা এবং যুগ্ম সম্পাদক ও ২৫, ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আয়েশা খাতুন মুক্তি। বিএনপির এসব নেতার মধ্যে আবদুস সোবহান লিটন, বেলাল হোসেন, আনোয়ারুল আমিন আজব ও আশরাফুল হাসান বাচ্চু বর্তমান কাউন্সিলর এবং মুসলিমা বেগম বেলী ও সামসুন নাহার বর্তমানে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর।

স্থানীয় সূত্র বলছে, বিএনপির এসব বহিষ্কৃত নেতা নিজ নিজ এলাকায় বেশ প্রভাবশালী ও দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করে আসছেন। তারাই বিএনপির একটি বড় অংশকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন এবং পরাজয় দেখলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেন। পাশাপাশি নির্বাচনে অংশ নেয়া জামায়াতের ৯ প্রার্থীর মধ্যে ২ প্রার্থী অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারেন- এমন গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App