×

সারাদেশ

তিস্তার পানি কমলেও, বেড়েছে দুর্ভোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৩, ১১:২৯ পিএম

তিস্তার পানি কমলেও, বেড়েছে দুর্ভোগ
টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ আর উজানের নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার অতিক্রম করলেও এখন তা কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও বেড়েছে তিস্তাপারের মানুষের দুর্ভোগ। বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক যেন সঙ্গী হয়ে দাড়িয়েছে তিস্তাবাসী। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৯ জুন) ভোর ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ৫১ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬টায় ওই পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটার। তবে এখন তা কমতে শুরু করেছে। পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, “গত শুক্রবার রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। রোববার রাতে পানি বিপৎসীমার দশমিক ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ সকালে পানি বিপৎসীমার দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সকাল ৯টার দিকে পানি দশমিক ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার দশমিক ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর দুপুর থেকে পানি আরও কমতে শুরু করেছে। এদিকে, জেলার ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি, বৈশপুকুর, পাগলপাড়া, গয়াবাড়ি, তিতপাড়া, পূর্ব চাতনাই গ্রাম এবং জলঢাকা উপজেলার শৈলমারী, বালাপাড়া, দৌয়াবাড়ি গ্রামে তিস্তা নদী ভিত্তিক কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে জানা যায়, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত হয়েছে এ সমস্ত নিম্নাঞ্চল। ফলে, পানি বন্দীও রয়েছে অনেক পরিবার। বিশুদ্ধ খাবার পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে বন্যাকবলীত এলাকাগুলিতে। জেলার ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল গণি মিয়ার স্ত্রী বন্যার্ত রওশন আরা বেগম (৪৮) জানান, “গত দুই দিনের টানা বর্ষণে আমার বসতবাড়িতে পানি জমেছে। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সংকটে এখন দুর্বিষহ জীবন পার করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ উদ দৌলা ভোরের কাগজকে বলেন, ‘গত দুই দিনের টানা বর্ষণে সোমবার ভোর ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি পানির গেট খুলে দেয়া হয়েছে। রাতের দিকে আরও পানি কমে যেতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডালিয়ায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫০ মিলিমিটার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App