×

সারাদেশ

ধর্ষণে ব্যর্থ: বাস থেকে ফেলে দেয়া সেই পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৩, ১২:২৭ পিএম

ধর্ষণে ব্যর্থ: বাস থেকে ফেলে দেয়া সেই পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু

ফাইল ছবি

ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে বাস থেকে ফেলে দেয়া পোশাক শ্রমিক শামছুন্নাহার (৩৫) দুইদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে আহাজারি।

গতকাল রবিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত শামছুন্নাহার কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। কয়েক বছর আগে স্বামী শাজাহানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় ১ মেয়ে ও ২ ছেলে সন্তান নিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকের কাজ করে শামছুন্নাহার জীবন-যাপন করতেন বলে জানান নিহতের বড় ভাই সেকান্দর আলী।

এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে সেকান্দর আলী বলেন, আমার মতো আর কারো বোন যেন এ ধরনের ঘটনার শিকার না হয়। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন এই গার্মেন্টসকর্মীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ১৬ জুন রাতে গার্মেন্টস ছুটির পর গাজীপুর জেলার মাওনা থেকে হাইওয়ে মিনি পরিবহনের একটি বাসে করে ভালুকায় আসছিলেন শামছুন্নাহার। এ সময় পথে বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে ফাঁকা বাসে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বাসটির চালক ও হেল্পাররা। ওই নারী তাদের বাধা দিয়ে চিৎকার শুরু করলে চালক ও হেল্পাররা তাকে চলন্ত বাসের জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।

এতে ওই নারীর মাথায় মারাত্মক জখম হলে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়।

ওসি আরো জানান, ওই রাতেই বাসসহ জড়িত তিনজনকে আটক করে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতরা হলেন- চালক মো. রাকিব মিয়া (২১), সুপারভাইজার আনন্দ দাস (১৯) ও হেল্পার মো. আরিফ মিয়া (২১)।

এ ঘটনার খবর পেয়ে ১৭ জুন ওই নারীকে দেখতে মমেক হাসপাতালে ছুটে যান ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাছুম আহম্মেদ ভূঞা। এ সময় তিনি ওই নারীর সুচিকিৎসায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App