×

সারাদেশ

ঈদকে সামনে রেখে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত ডুমুরিয়ার খামারিরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৩, ১০:০৯ পিএম

ঈদকে সামনে রেখে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত ডুমুরিয়ার খামারিরা

ছবি: ভোরের কাগজ

কোরবানি ঈদে দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রান্তিক কৃষক ও ছোট খামারিরা গরু পালন করছেন। কিছুটা বাড়তি লাভের আশায় ঈদকে সামনে রেখে সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরুকে গোসল করানো খাবার দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক খামারিরা। তবে ভালো দিক হলো ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন খামারি ও কৃষক।

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খলশি, সাজিয়াড়া, মির্জাপুর,খর্নিয়া, রুদাঘরা,ধামালিয়া, শিবপুর ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

ডুমুরিয়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো: আশরাফুল কবির বলেন, ১৪টি ইউনিয়নে ৬ হাজার কোরবানি গরু আছে সাড়ে ১০ হাজার কোরবানীর ছাগল ও মোট ১৭ হাজার মজুত রয়েছে। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে খামারে পশু পালন করছে। আর এ থেকে পশু উৎপাদিত হবে যা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত।

খামারি শামীম মিয়া বলেন, আমি বহুদিন যাবত খামার করে আসছি। এ বছর ভালো করে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার খামারে এখন দেশি গরু ১০-১১ টি রয়েছে। আমারা যারা ছোটখাটো খামারিরা তারা বেশি একটা লাভবান হতে পারি না, কারণ প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেশি। বেশি দাম দিয়ে খাবার কিনে খাওয়ালে বেশি একটা লাভবান হওয়া যাবে না। আমরা প্রাকৃতিক সব খাবার খাওয়াচ্ছি।

অনন্যা ফার্মের স্বত্বাধিকারী জুয়েল বলেন, এখানে আমি তিনটি গরু নিয়েছি আজ থেকে চার মাস আগে মোটাতাজা করার জন্য। এক একটা গরু প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা করে কেনা। ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে গরু মোটাতাজা করতেছি। ইন্ডিয়ান গরু না আসলে আমরা একটু লাভবান হতে পারব। সরকারের কাছে আবেদন ঈদের আগে যাতে ইন্ডিয়ান গরু বাংলাদেশে না ঢুকে তাহলে ছোটখাটো খামারিরা লাভবান হতে পারবো।

আরেক খামারি সোহেল মাহমুদ বলেন, এ এলাকায় বেশিরভাগ খামারি দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস-খড়ের পাশাপাশি খৈলগুঁড়া ও ভুসি খাওয়ানো হচ্ছে। গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে গরুতে লাভ কিছুটা কমে গেছে। গতবার চারটি গরু বিক্রি করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর কোরবানি উপলক্ষে সাতটি গরু পালন করছি। আশা করি এবারও ভালো দাম পাব।

খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. আইয়ুব আলী বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে খুলনা জেলায় ৪ হাজার ৩১৭ জন পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে খামার পরিচালনা করছেন। এই খামার গুলোকে আমরা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App