চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও এদেশের স্বাধীনতার ধারাবাহিক ইতিহাসের চিত্রকর্ম ভাঙচুর ও হামলাতেই প্রমান করে বিএনপি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকেই অস্বীকার করছে। তারা এখনো যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি ও তাদের মনে এখনো পাকিস্তানি প্রেম রয়েছে সেটাই তারা এই ন্যাক্কারজনক হামলার দ্বারা প্রমাণ করলো। এই হামলা শুধু বঙ্গবন্ধুর ওপর হামলা নয়, এই হামলা আমাদের পুরো জাতির অস্তিত্বের ওপর হামলা। এসব হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ও ব্যাথিত। হামলাকারী ও তাদের যারা মদদদাতা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে চট্টগ্রামের জামালখানে বিএনপি নামধারী নেতাকর্মীদের হামলা ও ভাঙচুরের ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন। এসময় তার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ভাঙচুরের ব্যাপারে বিএনপি নেতাদের নীরবতাই প্রমান করে এই ভাঙচুরের ঘটনায় তাদের সায় রয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছিলেন, তারা পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলেন। তার মানে তারা এখনো পাকিস্তানকেই হৃদয় দিয়ে ধারণ করে। বঙ্গবন্ধু কোনো দলীয় নেতা, তিনি জাতির পিতা। তার কারণেই এই স্বাধীন বাংলাদেশ। আর তার ওপর হামলা পুরো জাতির ওপরই হামলা করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তা তারা তাদের এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়েই প্রমাণ করেছে।

তিনি আরো বলেন, মৃত বঙ্গবন্ধু জীবিত বঙ্গবন্ধুর চাইতেও অনেক শক্তিশালী। তার দৃষ্টান্ত হলো তারা বঙ্গবন্ধুর ছবিতেও হামলা করেছে। এখানেতো শুধু বঙ্গবন্ধুর ওপরই হামলা হয়নি, দেশবরেণ্য স্বাধীনতাকামী বিপ্লবীদের প্রতিকৃতিতেও আঘাত হেনেছে। তার মানে তারা আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রাম মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপরও আঘাত হেনেছে। এর প্রতিবাদে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এসব হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে আগামী ২১ জুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করবো।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জন বিকেলে নগরীর কাজীর দেউড়িতে অনুষ্ঠিত বিএনপির ‘তারুণের সমাবেশে’ যাওয়ার সময় নগরীর জামালখানে এসব দেয়ালচিত্র ভাঙচুর ও ধ্বংসলীলা চালায় বিএনপির উশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা।