×

সারাদেশ

বাবা-মা ও বোনের পর না ফেরার দেশে ভাইও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩, ০১:১০ পিএম

বাবা-মা ও বোনের পর না ফেরার দেশে ভাইও

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চার্জার ফ্যান থেকে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিটে আগুনে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় মারা গেলেন টুটুল মন্ডলও (২৫)। এর মধ্য দিয়ে বাবা-মা ও বোনের পর মারা গেলেন ভাইও।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল সোয়া ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যান তিনি।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, টুটুলের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো।

এরআগে সোমবার সন্ধ্যায় মারা যান তার বাবা আব্দুস সালাম মন্ডল (৫০), মঙ্গলবার সকালে মা বুলবুলি বেগম (৪০) ও দিবাগত রাতে মারা যান বড় বোন সোনিয়া আক্তার (২৭)।

তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সোহাগ জানান, তাদের বাসা ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায়। বাসাটিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে তারা সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। শুক্রবার ভোরে হঠাৎ আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে তারা ছুটে যান। তখন আগুন নিভিয়ে দগ্ধ টুটুল, তার মা বুলবুলি বেগম, বাবা আব্দুস সালাম মন্ডল ও বড় বোন সোনিয়া ও ভাগনি মেহেজাবিনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

টুটুলের চাচাতো ভাই মো. আলআমিন মন্ডল জানান, টুটুল স্থানীয় একটা পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করেন। পাশাপাশি ইলেক্ট্রিকের কাজও করেন। বছরখানেক আগে বিয়ে করলেও বিয়ের ২ মাসের মাথায় বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আর টু্টুলের বড় বোন সোনিয়ার শ্বশুর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। ঘটনার ৩-৪ দিন আগে সোনিয়া তার মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে আসেন বাবা-মায়ের বাসায়। বাসার চার্জার ফ্যানে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে ঘরে আগুন ধরে যায় বলে জানতে পেরেছেন তিনি। এতে দগ্ধ হন পরিবারটির ৫ জন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, এই ঘটনায় ৩৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে আইসিইউ'তে ভর্তি আছে মেহেজাবিন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App