×

সারাদেশ

চট্টগ্রামে স্বস্তির বৃষ্টিতে অস্বস্তির জলজট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ০৫:৩৬ পিএম

চট্টগ্রামে স্বস্তির বৃষ্টিতে অস্বস্তির জলজট

চট্টগ্রামে বৃষ্টিতে নগরীল বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: ভোরের কাগজ, চট্টগ্রাম অফিস

চট্টগ্রামে স্বস্তির বৃষ্টিতে অস্বস্তির জলজট

চট্টগ্রামে বৃষ্টিতে নগরীল বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: ভোরের কাগজ, চট্টগ্রাম অফিস

গত সপ্তাহে প্রচন্ড গরম-বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিংয়ের কারনে চট্টগ্রাম নগরীতে ছিল ত্রাহি-ত্রাহি অবস্থা। তবে সেই প্রচন্ড গরমের পর গত দুইদিন ধরে কখনো ঝরো বাতাসের সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি , আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টিতে জনমনে স্বস্তি এনে দিয়েছে কিছুটা হলেও। সেই সাথে তাপমাত্রাও কমেছে। আপাতত: বিদ্যুতের লোডশেডিংও কিছুটা কমেছে। গত শুক্রবার নগরীতে প্রায় সারাদিনই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে যা শনিবারও (১০ জুন) অব্যাহত রয়েছে। কখনো মুষলধাওে অঅবার কখনো মাঝারি, কখনো হাল্কা। কিন্তু নগরীল নালা-নর্দমাগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার না থাকায় এই বৃষ্টির পনিতেই নগরীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটে পানি জমে গেছে। ফলে অবস্থাটি এমন- বৃষ্টিতে স্বস্তি আবার জলজটে অস্বস্তি -দূর্ভোগ নগরবাসীর।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা,ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি,বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করতে পারে। এর ফলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। এ প্রবণতা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

চট্টগ্রাম নগরীতে গত দুইদিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। কিছু অবিবেচক নগরবাসী পলিথিনে করে গৃহস্থালি বর্র্জ্য নালা-নর্দমা ও খালে ফেলে দেয়াতে পানি ঠিকমতো যেতে পারছেনা। ফলে উপচে উঠছে তা নগরীল রাস্তাসহ বিভিণœ জনপদে। এসব নালা-নর্দমাগুলো যেন নোংরা পানি ও পলিথিনের ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টিতে নগরের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা, দামপাড়া ওয়াসা মোড়, কাতালগঞ্জ, ষোলশহর, চকবাজার, বাকলিয়া, শুলকবহর, কাপাসগোলা ও পাঠানটুলিসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমে যাচ্ছে।

[caption id="attachment_438437" align="aligncenter" width="823"]
চট্টগ্রামে বৃষ্টিতে নগরীল বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: ভোরের কাগজ, চট্টগ্রাম অফিস[/caption]

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। প্রকল্পটির সিংহভাগ বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি এক সভায় প্রকল্পের কাজ ৭৬ দশমিক ২৫ শতাংশ শেষ হওয়ার দাবি করেছে সংস্থাটি। কিন্তু এই প্রকল্পের বাইরেও নগরীতে অসংখ্য নালা-নর্দমা-খাল রয়েছে যেগুলো পরিস্কার ও পানি চলাচলের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের। সেক্ষেত্রেই বেধেছে জটিলতা। এগুলো পরিষ্কার করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ( চসিক) এর নিজস্ব যে লোকবল রয়েছে তা দিয়ে করা সম্ভব না। বাধ্য হয়ে সিটি কর্পোরেশন কিছু ঠিকাদারকে সেই দায়িত্ব দিয়ে থাকে। ঠিকাদারদের দায়িত্ব হচ্ছে নারঅ-নর্দমা থেকে আবর্জনা তুলে তা নিরাপদ দুরত্বে অপসারন করা। কিন্তু তারা তা না করে নালা-নর্দমার পাশেই রেখে দেয়। যারফলে এগেুলো আবার বৃষ্টির পানিতে সেই নালাতেই পড়ে। ফলে আবারো ঠিকাদারদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয় আবর্জনা তোলা ও পরিষ্কার করার। এভাবে টাকা গচ্ছঅ যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের, কিন্তু মুল কাজটিই হচ্ছেনা।

তবে চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম জানিয়েছেন , প্রকল্পের বাইরে নালাগুলো পরিষ্কারের কাজ চলছে। ৪১টি ওয়ার্ডজুড়ে কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ভাড়ায় জনবল নিয়োগ করে নালা ও ছোট নালা থেকে মাটি তোলা হচ্ছে। চলতি মাসের শেষ দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। এ জন্য ওয়ার্ডগুলোতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রকৌশল বিভাগের অধীনে টেন্ডারের মাধ্যমে খাল-নালা পরিষ্কারের কাজ চলছে। একইসাথে ৬টি স্কেভেটর একযোগে নালা পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App