শ্যামগঞ্জ পূর্বধলা বিরিশিরি সড়কের উপজেলার খলিশাউর ইউনিয়নের একিয়ারকান্দা রেলক্রসিংটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের উপর দিয়ে জারিয়া গামী রেললাইন চলে গেছে। ওই স্থানটি জালশুকা রেলক্রসিং নামে পরিচিত। ওই রেললাইনের দুই পাশে এপ্রোসের মাটি সরে গিয়ে গর্তে সৃষ্টি হওয়ায় প্রায়ইশ দূর্ঘটনায় পড়ছে সড়কে চলাচলকারি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।

কতৃপক্ষের অবহেলা ও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করার কারনে ওই স্থানটি পার হওয়ার সময় প্রায়শই দূর্ঘটনায় পড়ছে।

সাম্প্রতি বালু বোঝাই একটি ট্রাক জারিয়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে জালশুকা রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় অতিরিক্ত বালু বোঝাই একটি ট্রাাকের এক্সেল ভেঙ্গে রাস্তার উপর আটকে পড়ে। এসময় রাস্তার দুই পাশে সড়কে চলাচলকারি শত শত যানবাহন আটকা পড়ে ও অসহনীয় দুর্ভোগে পড়ে এবং ভয়াবহ যানজটে পড়ে। এ সময় ময়মনসিংহ থেকে জারিয়াগামী লোকাল ট্রেনটি জালশুকা স্টেশনে আটকা পড়ে। পরে বালু নামিয়ে ট্রাক সড়ানো হলে ট্রেনসহ অন্যান্য চলাচল স্বাভাবিক হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এই সড়কে প্রতিদিন এক থেকে দুই হাজার বালু বোঝাই ট্রাক চলাচল করে থাকে। অতিরিক্ত বালু বোঝাই ট্রাকের চাপে রেলক্রসিং এর দুই পাশের মাটি সরে যাওয়ার কারনে ওই স্থানটি মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটবড় দূর্ঘটনা। ইতি মধ্যে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্যোগে মেরামত করা হলেও তা আবার ভেঙ্গে গেছে। আর বৃষ্টির সময় রেললাইনে পানি জমে একাকার হয়ে যায় তখন আরো দূর্ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। তাই দূর্ঘটনা এড়াতে রেলক্রসিং এলাকাটি দ্রæত টেকসই সম্পন্নভাবে মেরামত করার জন্য কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান।

নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন জানান এরিয়ারকান্দা রেলক্রসিং ও জারিয়া রেলক্রসিংএর জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র সম্পন্ন হয়েছে। কার্যাদেশ পেলেই দ্রæত কাজ শুরু করবেন সঙশ্লিষ্ট ঠিকাদার। তবে সাময়িক দূর্ভোগ লাঘবে ইট সুরকি দিয়ে মেরামত করে দেওয়া হবে।