মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ভাতার টাকা না দেয়ায় বীরনিবাস থেকে মাকে পিটিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৯ জুন) সকালে উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের গোয়ারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মা মরিয়ম বেগম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) ইমাম আল মেহেদী।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা উসমান গনি মারা যাওয়ার পর মেয়ে জহুরাকে নিয়ে ওই বীর নিবাসে বসবাস করছিলেন মরিয়ম বেগম। বীর নিবাস দখল ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকার জন্য এর আগেও বড় ছেলে মহিউদ্দিন (৪৫) তাকে মারধর করে বের করে দিলে স্থানীয় মাতবরদের সহায়তায় মীমাংসা হয়।

ভুক্তভোগী মরিয়ম বেগম বলেন, আমার বড় ছেলে মহিউদ্দিন আমার স্বামী বেঁচে থাকা অবস্থায় আমাদের কখনো ভাত-কাপড় দেয়নি। সে তার স্ত্রী নিয়ে আলাদা সংসার করে। এখন আমার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা চায়। ওই টাকায় স্বামী পরিত্যক্তা মেয়েকে নিয়ে কোনোমতে জীবন চালাচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরেই ভাতার টাকা চাচ্ছিল মহিউদ্দিন। ভাতার টাকা না দেওয়ায় সে আমাকে ও আমার মেয়েকে পিটিয়ে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন। আমি এর বিচার চাই।

প্রতিবেশীরা জানান, মহিউদ্দিন একজন মাদকাসক্ত। আগেও সে টাকার জন্য তার মা ও বোনকে মারধর করেছে। শুক্রবার পুলিশ এসে ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও মেয়েকে তাদের ঘরে তুলে দিয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে মহিউদ্দিন পলাতক।

সাটুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও সাটুরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ খ ম নুরুল হক বলেন, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা উসমান গনির বড় ছেলে মহিউদ্দিন তার মা ও বোনের সঙ্গে যা করেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা উসমান গনির স্ত্রী মরিয়ম বেগম মারা যাওয়ার পর ছেলে-মেয়েরা ওই বীর নিবাসের সমহারে অংশীদার হবেন, এর আগে নয়।

সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) ইমাম আল মেহেদী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।