×

সারাদেশ

চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশে মারামারি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৩, ০৭:১৬ পিএম

চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশে মারামারি

চট্টগ্রামে লালদীঘি পাড়ে জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দল আয়োজিত গনসমাবেশে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও মারামারি ঠেকাতে মঞ্চ থেকে নেমে আসেন ১৪ দরৈর সমন্বয়ক খোরশদ আলম সুজন (মেরুন রংয়ের পাঘ্জাবি ও শশ্রুমন্ডিত। ছবি: ভোরের কাগজ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশে মারামারি
চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশে মারামারি

চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কর্মীদের মধ্যে মারামারি। ছবি: ভোরের কাগজ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশে মারামারি

চট্টগ্রাম নগরীতে ১৪ দলের গণসমাবেশে নেতাদের উপস্থিতিতেই কয়েক দফা চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৩১ মে) বিকেলে নগরীর কোতোয়ালী থানার লালদিঘী এলাকায় জেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশস্থলে এ ঘটনা ঘটেছে। দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন ধারাবাহিকতা বানচালে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের উদ্যোগে এই গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।

ঘটনার সময় গণসমাবেশের মঞ্চে ১৪ দল চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রামে ১৪ দলের গনসমাবেশে মঞ্চে নেতৃবৃন্দ। ছবি: ভোরের কাগজ, চট্টগ্রাম

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকেলে সমাবেশ শুরুর পর একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি শ্লোগান শুরু হয়। এর মধ্যেই হঠাৎ চেয়ার ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত হতে দেখা গেছে মঞ্চের বিপরীতে বসে থাকা কর্মীদের মধ্যে, যাদের অধিকাংশ তরুণ-যুবক। এর মধ্যেই ছোঁড়া ইটের আঘাতে আহত হন নগরীর ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী। খোরশেদ আলম সুজন মঞ্চ থেকে নেমে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

এরপরও দফায়-দফায় মারামারিতে লিপ্ত হন কর্মীরা। এর ফলে গণসমাবেশের কার্যক্রম প্রায় আধাঘন্টা বন্ধ ছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ ও ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে মারামারিতে লিপ্ত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘যারা মারামারি করেছে, তারা মারামারির উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছে। মারামারি করতে আসলে লালদিঘী মাঠে আসেন। মারামারি করার ব্যবস্থা আমরা করে দেব। সমাবেশ মারামারি করার জায়গা নয়।’

[caption id="attachment_435513" align="aligncenter" width="1280"] চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কর্মীদের মধ্যে মারামারি। ছবি: ভোরের কাগজ, চট্টগ্রাম[/caption]

চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘যারা সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হতে পারে না। বড় সংগঠনে পছন্দ-অপছন্দ থাকতে পারে। তাই বলে একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে জড়াতে পারি না। আমরা সবসময় এটা বলি। তবুও অনেকে উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে আসেন। ষড়যন্ত্র করেন। মিছিল নিয়ে এসে বিশৃঙ্খলা করেন। এরা অনুপ্রবেশকারী। যারা এগুলো করেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’

তবে মারামারির বিষয়ে জানতে চাইলে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন ইমু বলেন, ‘১৪ দলের সমাবেশ পন্ড করতে পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা মিছিলে ঢুকে সমাবেশে এসে কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই ইট-পাটকেল ও চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু করে। উসকানি দিয়ে তারা ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে জড়াতে বাধ্য করেছে।’

কোতোয়ালী থানা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুইপক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App