খাগড়াছড়ির রামগড়ে রাতে পাহাড় কেটে নামার সময় স্কেভেটর মেশিন উল্টে চালকের মৃত্যুর ঘটনার থানায় মামলা হয়েছে। নিহতেন বড় ভাই মোহাম্মদ নুর নবী বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামী করে রামগড় থানায় মামলা দায়ের করেন।

নিহতের নাম মো. মিজানুর রহমান (৩৩) সে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানার মধ্যম সোনাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুজ্জামানের ছেলে। মামলার আসামিরা হলেন- আব্দুল লতিফ মেম্বার (৫৫), মো. আনোয়ার (২৫), মো. আব্দুর রহিম রিপন (২৮), মো. খোকন (৪০), ফেরদৌসী বেগম (৪০)। মামলায় অজ্ঞাতানামা আরো দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে নিহতের বড়ভাই অভিযোগ করেন, তার ছোট ভাই মিজানুর রহমান (৩৩) স্ক্যাভেটর চালক ছিলেন। পাতাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল লতিফ গাড়িটি দৈনিক ২৫ হাজার টাকা ভাড়া প্রদান শর্তে মো. আনোয়ার থেকে ভাড়ায় আনেন। এর আগে গাড়িটির মালিক মো. খোকন অনৈতিক লাভের আশায় মো. আনোয়ারের নিকট ভাড়া দেন। ঘটনার দিন রাতে ২ নং পাতাছড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের তালমনিপাড়ার পান্না কলোনীর ফেরদৌসি বেগমের টিলায় মাটি কাটার সময় গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের পাশে পুকুরে পড়ে ঘটনাস্থলে তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়।

তিনি আরো বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ী এলাকায় রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধার পাওয়ার উদ্দেশ্যে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করে পরিবেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে কাউকে না জানিয়ে দিনের পর দিন পাহাড় কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করেছে। তার সরলমনা ছোট ভাই মিজানুর রহমানকে বিবাদীগণ ষড়যন্ত্র করে বিপজ্জনক পাহাড় কাটার জন্য প্ররোচনা দিয়ে পাহাড় কাটতে বাধ্য করে।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে নিহতের বড়ভাই থানায় মামলা করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারে সম্ভাব্য সব জায়গায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত ১১টার দিকে রামগড় উপজেলার ২ নং পাতাছড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের তালমনিপাড়ার পান্না কলোনিতে একটি চক্র ফেরদৌসি বেগমের টিলা ভূমি কাটতে গিয়ে স্ক্যাভেটর উল্টে চাপা পড়ে চালক মিজানুর রহমানের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।