×

সারাদেশ

শাহপরীর দ্বীপে চার দিন পর ত্রাণসামগ্রী পেল ক্ষতিগ্রস্তরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৩, ০৯:৫৯ এএম

শাহপরীর দ্বীপে চার দিন পর ত্রাণসামগ্রী পেল ক্ষতিগ্রস্তরা

ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ আসার খবর পেয়ে আমরা আগের দিন, ডাংগরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেই। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে আমাদের ঘরগুলো একদম মাটিতে পড়ে গেছে। এখনো ওঠানো সম্ভব হয়নি।

এরপর থেকে চার দিন অতিবাহিত হলো। শুকনো খাবার বা অন্য কোনো সহায়তা এই প্রথম পেলাম। এসব কথা বলেছেন টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ডাংগরপাড়ার রহিমা খাতুন, কবির আহমদ ও আব্দুল হালিম।

গতকাল বুধবার বিকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান ঘূর্ণিঝড়কবলিত টেকনাফ সফরে এলে এসব কথা বলেন তারা। কথাগুলো শুনে এবং এলাকা পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত এই তিন পরিবার ছাড়াও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া ঘরগুলো মেরামতের জন্য পরিবার প্রতি দুই বান্ডিল টিন ও ছয় হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন এবং উপস্থিত ২০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, টেকনাফ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুধীর কুমার দত্ত, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল মন্নান, রেজাউল করিম রেজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাকবলিত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যেই সেন্টমার্টিনের জন্য ৪০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এক বান্ডিল টিনের বিপরীতে তিন হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। সেখানে টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরীর সমন্বয়ে

একটি টিম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা যাচাই-বাছাই করছেন। সেই অনুযায়ী বরাদ্দ দেয়া টিন ও নগদ অর্থ প্রদান করা হবে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য ছয় হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পৌঁছানো হয়েছে টেকনাফে। এর মধ্যে তিন হাজার প্যাকেট সেন্টমার্টিনে বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তালিকা অনুযায়ী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, অসংখ্য হালকা বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। গাছ-পালা, দোকান-পাট ও বেড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা আবার এই কয়দিনে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় মোকা সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে মনিটরিং করেছেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। যার কারণে প্রাণহানি ঘটেনি। যদিও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি, বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে সম্ভব সবকিছু করার জন্য তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App