×

সারাদেশ

সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড়ের আঁচড় সর্বত্র

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৩, ১০:৩৪ এএম

সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড়ের আঁচড় সর্বত্র

ছবি: ভোরের কাগজ

ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র চোখ সেন্টমার্টিনে ছিল না। তাই বিধ্বস্ত হয়নি দ্বীপটি। বড়ধরনের ক্ষতি চোখে পড়েনি। তবে আচর লেগেছে সবখানে। বিশেষ করে উত্তর পাশের সৈকত পাড়। ছোটখাটো ঘরবাড়ির ছাউনি। গাছ-গাছালি। হালকা ধরনের বেড়া। তবে পাকা ভবন ও মোবাইল টাওয়ারগুলো অক্ষত রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তৈরির কাজ করছে।

স্থানীয় বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবু তালেব বলেন, এবার বোটগুলো নিরাপদ দূরত্ব, টেকনাফে সরিয়ে রাখা হয়েছিল, তাই ক্ষতি হয়নি। ডেইল পাড়ার মাহে আলম বলেন, বাড়ির বাইরের কিছু বেড়া নষ্ট হয়েছে। তবে ঘরটি বিধ্বস্ত হয়নি।

সোমবার (১৫ মে) বিকাল সাড়ে ৪টায় সেন্টমার্টিন বিএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কথা হয় সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য সৈয়দ আলম, স্থানীয় যুবনেতা আকতার কামাল, ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ, পল্লী চিকিৎসক সালাউদ্দিন, ইউপি সদস্য মাহফুজা আকতার, ভিডিপি দল নেত্রী আরজিনা আক্তারের সঙ্গে।

তারা বলেন, ‘মোকা’র প্রবল ঝড়ো হাওয়া সাধারণ বাড়িঘরের ক্ষতিসাধন করেছে। এখানে খাবারের জন্য টাকা বা খাদ্যসামগ্রির চেয়ে শক্ত ধরনের বাড়িঘরের ব্যবস্থা করা দরকার। জলোচ্ছ¡াস থেকে রক্ষা করতে টেকসই বেড়িবাঁধ দেয়া প্রয়োজন। ভাগ্য ভালো যেন ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি সেন্টমার্টিনে আঘাত করেনি। তা হলে দ্বীপের সব অধিবাসীর লাশ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর হতো।

গতকাল বিকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজারের মেয়র মুজিবুর রহমান, সহসভাপতি রেজাউল করিম, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরফানুল হক চৌধুরী, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, বিজিবি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশর ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব মোর্শেদসহ সংশ্লিষ্টরা সেন্টমার্টিনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তারা দ্বীপের মানুষকে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন।

এ সময় শত শত নারী-পুরুষ সেন্টমার্টিনে স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ দেয়ার দাব জানান। এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শাহীন ইমরান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকা পরিস্থিতি সব সময়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনিটরিং করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সম্ভব সবকিছু করে দেবেন।

যথাসময়ে দ্বীপের মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করেছেন বলে প্রাণহানির মতো বড় ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন জানিয়ে জেলা প্রশাসক দ্বীপবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি দ্বীপের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি ও বেড়িবাঁধের দাবি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তাকে জানাবেন বলে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন। এদিকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পাঠানোর জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নির্দেশনাও দেন ডিসি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, যে কোনো দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নেতাকর্মী দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কাজ করেছে। বিশেষ করে আশ্রয়কেন্দ্রে সব মানুষজনকে এনেছেন। এ কারণে প্রাণহানি বা আহতের ঘটনা ঘটেনি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেন্টমার্টিনে ২২শ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পরে ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী আরো সহযোগিতা দেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App