×

সারাদেশ

মিরসরাইয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৩, ০৯:১২ পিএম

মিরসরাইয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং

ছবি: সংগৃহীত

প্রস্তুত ৪৫টি সাইক্লোন সেন্টার, মেডিকেল টিম ও ফায়ার সার্ভিস

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’য় রূপ নিয়েছে। মোকা মোকবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুটি পৌর এলাকায় প্রশাসনের উদ্যোগে লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে মাইকিং করা হয়েছে। সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। মোকা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।

শনিবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের উদ্যোগে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। মিরসরাই উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছি। পৌরসভা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সাথে সভা করে প্রস্তুুতি থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সকাল থেকে আমি উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করছি এবং কোস্টগার্ড দ্বারা মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। আশা করছি তারা রাতের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠে যাবে। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে পৌছে নাই।

মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সাথে সম্বনয় করে গতকাল রাত থেকে আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়াও সেচ্ছাসেবক টিম ও ছাত্রলীগের কর্মীরা দূর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

মিরসরাই উপজেলা সিপিপি টিম লিডার এম সাইফুল্লাহ দিদার বলেন, ১০ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় আমাদের ৮০ টিম মাঠে থাকবে। ৮০ টিমে এক হাজার ছয় শত স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। যারা নিজ নিজ ইউনিটে প্রচারনার কাজ করছে। একটি টিমে ১০ জন পুরুষ ও ১০ জন মহিলা সদস্য রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার বিকাল থেকে আমাদের মাইকিং চলছে। এছাড়াও মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হাত-পা ধরার বাকী আছে শুধু। তবুও মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে আসছে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ ও চিকিৎসা সরাঞ্জামসহ আমরা ১৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করেছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির খান বলেন, ৩৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। এগুলো সর্বদা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও রবিবার (১৪ মে) শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কার্যক্রম চালু থাকবে।

মিরসরাইয়ের সামাজিক সংগঠন সোনালী স্বপ্ন পাঠশালার পরিচালক মঈনুল হোসেন টিপু বলেন, উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের বেড়িবাধ এলাকার মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে সকাল থেকে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুঝাচ্ছি। এখনো পর্যন্ত তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছে না। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

কোস্টগার্ড মিরসরাই ষ্টেশনের কন্টিজেন্ট কমান্ডার জহিরুল ইসলাম জানান, মিরসরাইয়ের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে সাবধান করতে মাইকিং করা হচ্ছে। তাদের নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। উপকূলে ঝুঁকির মধ্যে থাকা বাসিন্দাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড় আমাদের এলাকায় আঘাত হানে তাহলে তাদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App