×

সারাদেশ

গুরুতর ঝুঁকিতে কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধের ৩ পয়েন্ট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৩, ০৬:০৫ পিএম

গুরুতর ঝুঁকিতে কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধের ৩ পয়েন্ট

ছবি: ভোরের কাগজ

গুরুতর ঝুঁকিতে কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধের ৩ পয়েন্ট

দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধের ৩ পয়েন্ট এখনো গুরুতর ঝুঁকিতে। ‘ঘূর্ণিঝড় মোকা’ ধেয়ে আসার খবরে আতঙ্কিত দ্বীপের মানুষ। ৪০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ প্রায় পুরোটা শেষ পর্যায়ে। ঠিকাদারের অবহেলা আর দুর্বল মনিটরিংয়ের ফলে আলী আকবর ডেইল কাহার পাড়া থেকে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প পর্যন্ত দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই ঢুকে পড়ে লোনা পানি। সংশ্লিস্ট এলাকার ফসলি জমি আর কাচা-ঘরবাড়ি নিমেষেই দেবে যায়। এর আগে একই স্থানে জরুরি নয়-ছয় কাজ করেছিল একটি ঠিকাদারি সংস্থা।

আলী আকবর ডেইল ১ নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, কাহার পাড়া এলাকার বাধে কখনোই জিওব্যাগ দেয়া হয়নি। বায়ু বিদ্যুৎ এলাকায় ব্যাগ দেয়া হলেও জোয়ারের ধাক্কায় ফের চলে গেছে সাগরে। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা গুরুতর ঝুঁকিতে আছে বলে জানান তিনি।

উত্তর বড়ঘোপ ও উত্তর কৈয়ারবিল অংশে দুই পয়েন্টের অবস্থা নাজুক। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি হলেই লোকালয়ে প্রবেশ করবে সাগরের পানি। যে কারণে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার কয়েক শ’ পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নেজাম উদ্দিন বলেন, উত্তর বিন্দা পাড়ায় কিছু বেড়িবাঁধ গুরুতর ঝুঁকিপূর্ণ। কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজমগীর মাতবর বলেন, মলমচর বৃটিশ স্লুইসগেইট এলাকায় ৫০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভাঙা। অতিরিক্ত পানি হলেই প্রবেশ করবে পুরো ইউনিয়নে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী এল্টন চাকমা বলেন, কাহার পাড়া বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে সপ্তাহ আগে। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় ঠিকাদার কাজ করতেও আগ্রহী হচ্ছে না। ফলে এই দূর্যোগ সময় পার হলেই কাজ শুরু হবে। উত্তর বড়ঘোপ ও কৈয়ারািবলের কিছু অংশ মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়েছে।

অপরদিকে, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকার’ প্রস্তুতি হিসেবে উপজেলার ছয় ইউনিয়নে ৯১টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জনপ্রতিনিধিরা বৈঠক করেছেন। উপজেলা প্রশাসন মনিটরিং শেল গঠন ও তদারকি করছেন। এরই মধ্যে পাঁচ টন চাউল ও দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন। এছাড়া, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বরাদ্দ রয়েছে যা পাঠানো হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর তঞ্চাঙ্গ্যা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকার’ প্রভাবে ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে ও জানমাল রক্ষায় জনসচেতনা বৃদ্ধি, মনিটরিং শেল গঠন, দায়িত্ব পালনে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, বেসরকারি সংস্থার স্বাস্থ্য বিভাগসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App