নাগরপুরে অসময়ে যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৩, ০২:২০ পিএম
ছবি: নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবারিয়া ইউনিয়ের বিভিন্ন গ্রাম অসময়ে যমুনা নদীতে ভাঙতে শুরু হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের বাসিন্দারা। সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অসংখ্য পরিবার। শত প্রতিশ্রুতির পরেও কেউ এগিয়ে আসেনি নদীর পাড়ের এসব অসহায় পরিবারগুলোর পাশে। তবে নদী ভাঙনের বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমুনা নদীর ভাঙনে দিশেহারা মানুষ। চৈত্র-বৈশাখ মাসের শুষ্ক মৌসুমেও নদী তীরবর্তী ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে এখনি পদক্ষেপ না নিলে দুই একদিনের মধ্যে চলে যাবে যমুনায়। এরমধ্যে বিভিন্ন গ্রামে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। রাস্তা, কালভার্ট ও বহু ঘর-বাড়ি, ফসলী জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা যমুনা নদীর গর্ভে চলে গেছে। বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি হারিয়ে মানুষ দিশেহারা। এলাকাবাসীর দাবি নদী ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী গাইড বাঁধ নির্মাণের।
[caption id="attachment_427750" align="alignnone" width="1388"] ছবি: নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি[/caption]বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ভাঙন এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এতে এলাকার শিশুদের পড়া লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই স্কুলটি রক্ষায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শাকিল বলেন, নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে। স্কুলটি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান জানান, নদী ভাঙনের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
নদীর পাড়ে স্থায়ী গাইড বাঁধ নির্মাণ করা হলে আশা-আকাঙ্খার প্রাপ্তি হবে চরের বুকে বেঁচে থাকা সংগ্রামী মানুষগুলোর। এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্ট সবার।
[caption id="attachment_427751" align="alignnone" width="1422"] ছবি: নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি[/caption]