×

সারাদেশ

আলফাডাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারে বদলে গেছে দম্পতির ভাগ্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৩, ১২:০৩ পিএম

আলফাডাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারে বদলে গেছে দম্পতির ভাগ্য

ছবি: ভোরের কাগজ

আলফাডাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারে বদলে গেছে দম্পতির ভাগ্য

দিন বদলে গেছে আশ্রয়ন প্রকল্পের স্বপ্ননগরের বাসিন্দাদের। এখানে বসবাসকারীদের এক সময় জমাজমি ছিলো না। এখন তারা প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া ঘরে জমাজমিসহ মাথা গুঁজার ঠাঁই পেয়েছেন।

সেখানে মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, কমিউনিটি ক্লিনিক, শিশুপার্ক ও হাট-বাজারসহ সামাজিক বনায়ন গড়ে উঠেছে।

আলফাডাঙ্গার উপর দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে কবলে পড়া নিঃস্ব পরিবারসহ ভূমিহীনদের আশ্রয় এই স্বপ্ননগরে। সেখানকার বাসিন্দারা ঘরের পাশে লাগিয়েছেন বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও সবজির গাছ। সেখানে কেউ গবাদি পশু গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগির খামার আবার কেউ মুদি দোকানের ব্যবসা করছেন। নিজের পরিবারকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এমন নানা উদ্যোগ নিয়েছেন বাসিন্দারা।

স্বপ্ননগরের বাসিন্দা সচিন দাস-সবিতা দাস দম্পতি দুজনে এখন বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি করছেন ধামা, কুলা, খলই, ডালাসহ গৃহস্থালী নানা কুটিরশিল্প সামগ্রী।

এমনটিই দেখা গেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চরকাতলাসুর এলাকায় গড়ে উঠা আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় স্বপ্ননগরে।

ইতিমধ্যে আলফাডাঙ্গা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হক।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও এলাকা ঘুরে জানা গেছে, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলাটি ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে মোট ৭৩৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমির দলিলসহ পর্যায়ক্রমে টিনসেড পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

উপজেলার ৬টি ইউনিয়নেই কমবেশি এ প্রকল্প রয়েছে। তার মধ্যে গোপালপুর ইউনিয়নের চরকাতলাসুর গ্রামে ‘স্বপ্ননগর’ নামে সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প। যেখানে ৩ শতাধিক ঘর তৈরি করে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমিহীনদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এই স্বপ্ননগরে ভূমিহীনদের জমিসহ ঘরের পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ, জেলা প্রশাসন স্কুল নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, কমিউনিটি ক্লিনিক, শিশুপার্ক ও হাট-বাজারসহ সামাজিক বনায়ন। আলফাডাঙ্গার উপর দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে কবলে পড়া নিঃস্ব পরিবারসহ ভূমিহীনদের আশ্রয় এই স্বপ্ননগরে। সেখানকার বাসিন্দারা ঘরের চার পাশে লাগিয়েছে নানা প্রজাতির ফল ও সবজির গাছ। সেখানে আবার কেউ গবাদি পশু গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগির খামার আবার কেউ মুদি দোকানের ব্যবসা করছেন। নিজের পরিবারকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এমন নানা উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। স্বপ্ননগরের বাসিন্দা সচিন দাস (৬৫) ও স্ত্রী সবিতা দাস (৫৬) দুজনে এখন বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি করছেন ধামা, কুলা, খলই, ডালাসহ গৃহস্থালী নানা কুটিরশিল্প সামগ্রী। আর এইভাবেই প্রতিটি পরিবার তাদের ভাগ্যবদলের চেষ্টায় কাজ করে চলছেন। সার্বিক বিষয়ে সেখানকার পরিবারগুলোকে নানাভাবে সহায়তা করছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হক ভোরের কাগজকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২ এর আওতায় আলফাডাঙ্গা উপজেলায় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুধীজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের সমন্বয়ে ভূমিহীন-গৃহহীন বাছাই করে ৭৩৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

তিনি জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ভূমিহীন-গৃহহীনরা কেউ বাদ পড়েছে কিনা আর কাউকে ঘর দিতে হবে কিনা এসব বিষয় নিয়ে উপজেলার সব জনপ্রতিনিধি, সাংবাদকর্মী, ইমাম, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করা হয়েছে। একাধিকবার বৈঠক করার পর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা ইউনিয়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন নাই মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যেই আগামী ২২ মার্চ এ উপজেলাকেও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কোনো ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন পরিবার পাওয়া গেলে তাদেরও দ্রুত পুনর্বাসনের লক্ষ্যে খাসজমি নির্বাচন করে পুনর্বাসন করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App