×

সারাদেশ

প্রতিপক্ষের ভয়ে বাড়ি ছাড়া কয়েকটি পরিবার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:০৩ পিএম

প্রতিপক্ষের ভয়ে বাড়ি ছাড়া কয়েকটি পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিপক্ষের ডাং-মার আর প্রাণনাশের হুমকিতে প্রাণ ভয়ে স্বীয় বাড়ি ছেড়ে গত কয়েকদিন ধরে লুকিয়ে পালিয়ে বাঁশঝাড়ে, গাছতলায় আর কবরস্থানে বসবাস করছেন শিশুসহ কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা।

ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার সোনারায় সংগলশী ইউয়নের উত্তর মুশরত কুখাপাড়া গ্রামে। চলমান দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বিদ্যমান থাকায় স্বীয় বাড়িতে ফিরতে পারছেন না তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় হায়দার আলী তার পরিবারের অন্যান্যদের সাথে শিশু বাচ্চাসহ কেউ বাঁশঝাড়ে আবার কেউ বা কবরস্থানে লুকিয়ে বসবাস করছে।

কথা হলে তিনি জানান, তার সাথে প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক, মোক্তার হোসেন ও সোনারায় সংগলশী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের দীর্ঘ দিন ধরেই বিরোধ চলছিল। ডাং-মার আর রক্তাক্ত জখমের পর স্থানীয় মহৎ প্রধানের মধ্যস্থতায় আপোষ মীমাংসাও হয়েছিল ইতোপূর্বে। কিন্তু তা মানেনি কোন পক্ষই। ফের রোচিত হয় ডাং-মার আর রক্তাক্ত জখমের কালো অধ্যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (২৩ মার্চ) পবিত্র ঈদের দিন সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। এতে গুরুতরভাবে আহত হয় দু’পক্ষেরই লোকজন।

ডাং-মার ও হুমকিতে প্রাণ ভয়ে লুকিয়ে পালিয়ে শিশুসহ হায়দার পরিবারের সদস্যরা। সংঘর্ষের ভয়ে স্বীয় বাড়িতে ফিরতে পারছেন না তারা।

এ বিষয়ে সোনারায় সংগলশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম শাহ জানান, এ দু’পক্ষের মধ্যকার বিরোধ ইতিপূর্বেই নিষ্পত্তি করে হয়েছিল। কিন্তু কোন পক্ষই তা মানেনি। উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বিদ্যমান। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (২৩ মার্চ) পবিত্র ঈদের দিনেও মারা সংঘর্ষে জড়িয়েছিল।

জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, হায়দারের বাড়িতে তার পরিবারের লোকজন কেন থাকতে পারছে না তা আমি জানি না।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ব্যাপক রক্তপাত হয়েছে। এ দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব আর সংঘর্ষে এই এলাকায় কেউ আত্মীয়তা করতে চায় না।

সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক, মোক্তারুলদের পক্ষের লোকজনের ভয়ে হায়দার আলী তার স্বীয় বাড়িতে ফিরতে পারছে না। এমনকি শিশু বাচ্চাসহ তার পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে পরিবারের লুকিয়ে গাছ তলায়, বাঁশঝাড়ে বা কবরস্থানে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। আমরা বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান চাই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App