×

সারাদেশ

ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:৫৩ পিএম

ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি

ছবি: মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার মদন-কেন্দুয়া সড়কের সাইডুলী নদীর পাশে ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ভৈরব, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতে মদন পৌরসদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে যাত্রা বিরতি করতে হচ্ছে। এতে যাত্রীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ ও দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি সংস্কারের উদ্যেগ না নেওয়ায় চালক ও যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মদন থেকে কেন্দুয়া উপজেলায় যাতায়াতের একমাত্র পথ মদন-কেন্দুয়া সড়ক। ব্যস্ততম এই সড়কে প্রতিদিন যাত্রী ও পণ্যবাহী ছোট বড় হাজারো গাড়ি চলাচল করে থাকে। মদন ও খালিয়াজুরী থেকে কেন্দুয়া, তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রামের সঙ্গে দূরপাল্লার যান চলাচল করে ওই সড়ক দিয়ে। ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনি আটপাড়া, মদন, খালিয়াজুরী হাওরাঞ্চলের নানা পেশার শতশত লোকজন যাতায়াত করে। এই সড়কের সাইডুলী নদীর পাশে একটি ছোট ব্রিজ রয়েছে। গত ১২ এপ্রিল সেই ব্রিজটি ভেঙে যায়। কর্তৃপক্ষ ধায়সারা গুচের সংস্কার করলেও সেটিও ভেঙে গেছে।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) সরজমিন গেলে দেখা যায়, সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে রাস্তায় দুই পাশে ছোট বড় গাড়ি আটকে আছে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রী ও চালকরা পাটাতন দিয়ে চলাচলের উপযোগী করার জন্য চেষ্টা করছেন। অনেক যাত্রী তাদের মালপত্র নিয়ে অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ আবার গাড়ি বদল করে যাতায়াত করছেন। এতে যেমন বাড়ছে খরচ তেমনি পৌঁহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

এ সময় মদনের পলাশ মিয়া, ময়না আক্তার জানান, ‘আমরা চট্টগ্রামে পোশাক শ্রমিকের কাজ করি। ছুটি শেষে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে কর্মস্থলে যাচ্ছি। বাড়ি থেকে গাড়িতে উঠতে অতিরিক্ত সময় ও সিএনজি, অটোরিক্সার ভাড়া দিতে হচ্ছে।’

সিএনজি চালক কামাল মিয়া ও তৌহিদ মিয়া জানান, ‘এখন ঈদের মৌসুম। বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফিরছে যাত্রীরা। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এখানে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ১৫ দিন ধরে ব্রিজটির অবস্থা খারাপ। সেখানে শুধু দুইটি পাটাতন দেয়া হয়েছে। পণ্যবাহী বড় ট্রাক ও বাসের কারণে আবার সেগুলোও ধসে গেছে। এখন ছোট গাড়িও চলাচল করতে পারছে না।’

এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেন জানান, ‘ছোট এই ব্রিজটি অনেক পুরাতন হওয়ায় ভেঙে গিয়েছে। নতুন করে নির্মাণ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য ছোট ব্রিজটি আপাদত মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়া হবে।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App