×

সারাদেশ

কক্সবাজারে ৬ মরদেহ হস্তান্তর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৫০ পিএম

কক্সবাজারে ৬ মরদেহ হস্তান্তর

সোমবার সন্ধ্যায় মরদেহ বুঝিয়ে দিতে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে নাজিরারটেকে ভেসে আসা ট্রলার থেকে ১০ মরদেহের মধ্যে ছয়জনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে এসব মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়।

মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে যাদের মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম প্রকাশ সামশুর মরদেহ গ্রহণ করেন স্ত্রী রোকেয়া বেগম, চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার তারেকের মরদেহ গ্রহণ করেন তার বাবা জসিম উদ্দীন, শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহর মরদেহ গ্রহণ করেন ভাই আয়াক উল্লাহ, চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহানের মরদেহ গ্রহণ করেন স্ত্রী হাফিজা বেগম, শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের মুসা আলীর ছেলে গণি ওসমানের মরদেহ গ্রহণ করেন মা জহুরা বেগম ও একই ইউনিয়নের নুরুল কবিরের মরদেহ গ্রহণ করেন পিতা মোহাম্মদ হোসান।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ও পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের পক্ষে নগদ ২৫ হাজার টাকা করে জনপ্রতি অনুদান দেয়া হয়।

অনুদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। তিনি বলেন, দাফনসহ অন্যান্য খরচের জন্য প্রাথমিকভাবে এই অনুদান দেয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ছয়জনের মরদেহ স্বজনরা শনাক্ত করার পর যাচাই-বাছাই শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর চারজনের মরদেহ মর্গে রয়েছে। সব কটি মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষা করার পর পরিচয় আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে। যে ছয়জনের মরদেহ হস্তান্তর হয়েছে তাদের থানায় এজাহার জমা দিতে বলা হয়েছে। এজাহার পাওয়ার পর মামলা হবে।

এদিকে, নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, ট্রলারটির মালিক মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার শামসুল আলম। তিনি নিজেও সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ভেসে আসা একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছয়জনের মরদেহ হস্তান্তরের পর এখনো চারজনের মরদেহ রয়েছে। এরা শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪) বলে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তবে পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় হস্তান্তর করেনি পুলিশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App