×

সারাদেশ

নরসিংদীতে বাড়ি ঢুকে যুবককে গুলি, গুলিবিদ্ধ ৪

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২২ পিএম

নরসিংদীতে বাড়ি ঢুকে যুবককে গুলি, গুলিবিদ্ধ ৪

ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় বাড়ি ঢুকে মো. জুলহাস মিয়া (২৮) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ এসেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অপর চারজন। নিহত যুবক জুলহাসের মামা এ অভিযোগ করেন।

শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার চরাঞ্চল নীলক্ষা ইউনিয়নের বীরগাঁও পূর্ব পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জুলহাস মিয়া পোলট্রি ফার্মের ব্যবসায়ী। বীরগাঁও পূর্ব পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল মিয়ার ছেলে তিনি। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ চারজন হলেন সাদ্দাম মিয়া (৩২), ইয়ামিন মিয়া (১৮), হাবিব মিয়া (১৬) ও রাইজুদ্দীন মিয়া (২৬)। তারা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।

নিহত জুলহাসের মামা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এমন তুচ্ছ বিষয়ে টেঁটা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালাবে, বাড়িতে ঢুকে গুলি করে দেবে, ভাবতেই পারছি না। হাসপাতালে নেয়ার পথেই জুলহাসের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার পথে থাকা দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জালাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি ককটেলের মতো নানা ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরির সঙ্গে জড়িত। প্রায়ই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেন তিনি। ঈদের দিন বিকেল পাঁচটার দিকে তার নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন এলাকায় ককটেল ফাটাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলের পাশেই জুলহাসের পোলট্রি ফার্ম। সেখানে জুলহাসসহ প্রায় ২০ জন আড্ডা দিচ্ছিলেন। জুলহাস এগিয়ে গিয়ে জালাল মিয়াকে অনুরোধ করে বলেন, মুরগিগুলো ভয় পায়, তাই এখানে যেন আর ককটেল না ফাটান। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে জালালসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজন চলে যান। প্রায় ৩০ মিনিট পর তারা কিছু টেঁটা, পাইপগান ও শটগান নিয়ে আসেন। এই দৃশ্যে ভীত হয়ে জুলহাসসহ অন্যরা জুলহাসদের বাড়িতে ঢোকেন। জালালের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন বাড়িতে ঢুকে তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকেন। এতে গুলিবিদ্ধ হন পাঁচজন। পরে তারা চলে গেলে গুলিবিদ্ধ জুলহাস, হাবিব ও ইয়ামিনকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে জুলহাসের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ অপর দুজনকে নরসিংদী শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ ঘটনার পর থেকে জালাল মিয়া ও তারা সহযোগীরা পলাতক আছেন। ফলে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App