×

সারাদেশ

খুলনাবাসীকে দেয়া সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৫৯ এএম

খুলনাবাসীকে দেয়া সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারের মাধ্যমে খুলনার গণমানুষের কাছে যে প্রতিশ্রতি দিয়েছিলাম, এই ৫ বছরে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছি। এই নগরীর মানুষের মূল সমস্য জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ব্যাপকভাবে খাল ও ড্রেনের উন্নয়ন কাজ করেছি। খাল খনন ও ড্রেন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। রবিবার ভোরের কাগজকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠেয় খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ফের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। গত পাঁচ বছর মেয়র হিসেবে কেমন দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামীতে নির্বাচিত হলে নগরবাসীর উন্নয়নে কি করবেন? এসব বিষয়টি নিয়ে ভোরের কাগজের মুখোমুখি হয়েছিলেন তালুকদার আবদুল খালেক। বিভিন্ন প্রশ্নের খোলামেলা জবাব দিয়েছেন তিনি।

তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ২০১৮ সালে খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের বেশ কিছুদিন আগে খুলনার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সময় নেতৃবৃন্দ দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন যে, সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে মেয়র প্রার্থী হিসাবে তালুকদার আব্দুল খালেকের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে আমি রামপাল-মোংলার সংসদ সদস্য ছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। আমি নির্বাচিত হওয়ার পরেই খুলনার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পর্যন্ত ২৪০০ কোটি টাকা বরদ্দ দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৪০০ কোটি টাকার মত কাজ চলমান রয়েছে। অনেক কাজও সম্পন্ন হয়েছে। বাকি টাকা এখনো হাত দিতে পারেনি। এছাড়াও অন্যান্য প্রকল্পের টাকাও পেয়েছি। সেই কাজগুলোও চলামান। উন্নয়ন কাজ সব সময়ই চলমান থাকে।

মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, করোনার কারণে আমরা অনেকটা পিছিয়ে গেছি। নগরীর মানুষের মূল সমস্য ছিলো জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ব্যাপকভাবে খাল ও ড্রেনের কাজ শুরু করেছি। কিছু কিছু জায়গায় ড্রেন নির্মাণ শেষ হয়েছে। খাল খনন ও ড্রেন নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে শহরে জলাবদ্ধতা থাকবে না।

তিনি আরো বলেন, ময়ূর নদসহ ২৬ খাল অবমুক্ত করা নগরবাসীর দীর্ঘ দিনের একটা প্রত্যাশা ছিল। অবৈধ স্থাপনা ও দখলদারদের ইতোমধ্যে উচ্ছেদ করা হয়েছে। খুলনা মহানগরের সীমানার বাইরে ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটার কয়েকটি খালের মাধ্যমে শহরের পয়ঃনিষ্কাশন হয়। ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটার খালগুলো খনন করার জন্য জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে। উপজেলার এই খালগুলো খনন না করলে শহর থেকে পানি কোনভাবেই বের হতে পারবে না।

আওয়ামী লীগের দলীয় এই মেয়র প্রার্থী বলেন, খুলনার শুধু রাস্তাঘাট উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬০০ কোটিরও বেশি টাকা দিয়েছেন। সেই টাকার কাজ শেষ করতে যাচ্ছি। এই সব কাজ শেষ হলে অনেক কিছুই দৃশ্যমান হবে।

তিনি আরো বলেন, বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য শৈলো এলাকায় ৭৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রতিদিন ৫০০ লিটার ডিজেল, বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদন সম্ভব হবে। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হবে খুলনা সিটি করপোরেশন।

তালুকদার আব্দুল খালেক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে টাকা দিয়েছেন সেই টাকা থেকে এখনো এক হাজার কোটি টাকা রয়েছে উন্নয়ন ফান্ডে। খুলনায় জমি ক্রয় করার জন্য সেই ফান্ড থেকে জেলা প্রশাসককে ১০০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।

খুলনা সিটি মেয়র বলেন, ক্ষমতার ধারাবাহিকতা না থাকলে কখনোই উন্নয়ন করা সম্ভব না। তাই আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনে বিজয়ী হলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী নিরসনসহ খুলনাবাসীর নাগরিক সেবা নিশ্চিত করবো।

তিনি আরো বলেন, খুুলনা শহরের দুই পাশে রুপসা ও ভৈরব নদীতে পলি পড়ে উচু হয়েছে গেছে। যে কারণে জোয়ারের সময় নদীর পানি ঢুকে শহর তলিয়ে যায়। এছাড়া শহরের পানি বের হতে পারে না। রুপসা ও ভৈরব নদী খনন করে নাব্য বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বরাদ্দ চেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিট মন্ত্রনালয়ের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, কোনো দাতা সংস্থাকে পেলে খুলনার এই দুটি নদী খননের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App