×

সারাদেশ

চট্টগ্রামের মার্কেটগুলো প্রচণ্ড অগ্নিঝুঁকিতে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:১৮ পিএম

চট্টগ্রামের মার্কেটগুলো প্রচণ্ড অগ্নিঝুঁকিতে

চট্টগ্রামের হকার্স মার্কেটে ২০২২ সালের ১১ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিলো। ফাইল ছবি

দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান সিএমপির

সম্প্রতি ঢাকার বঙ্গবাজার, নিউ সুপার মার্কেটসহ বিপণিবিতান ও পাইকারি ব্যবসার আড়তে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হাজারো ব্যবসায়ী। ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও অনেক মার্কেট অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত। তাই অগ্নিঝুঁকি এড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ঢাকার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে চট্টগ্রামে। এদিকে, চট্টগ্রামে যেন এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য অগ্নিঝুঁকিতে থাকাসহ সকল মার্কেট সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ঢাকার বঙ্গবাজার, নিউ সুপার মার্কেটসহ বিপণিবিতান ও পাইকারি ব্যবসার আড়তে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফলশ্রুতিতে ব্যবসায়ীরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে। চট্টগ্রামেও কিছু মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। চট্টগ্রামে এ সকল ঘটনার যেন উদ্রেক না হয় সে জন্য আপনাদের বিপণিবিতান ও মার্কেটসমূহে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এতে বলা হয়, পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিরাপত্তা প্রহরী নিযুক্ত করা, রাত্রিকালীন সময়ে বিশেষ করে মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সমিতির সদস্যদের পালাক্রমে নিযুক্ত করা, প্রযোজ্য স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা করা, পর্যাপ্ত পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদি (ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, বালতি, বালি, পানি) ব্যবস্থা রাখা, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেন নিরাপদে মার্কেটে আসা-যাওয়া করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের যে কোনো আইনানুগ সহায়তা করার জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামের বিপণিবিতানগুলো অগ্নিঝুঁকিতে থাকার কথা স্বীকার করেছেন বিপণিবিতান মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ বিপণিবিতানে অগ্নি নির্বাপনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই- এটা ঠিক। দোকানগুলোতে ফায়ার এক্সটিংগুইশার লাগানো হয়নি। আমরা চাই না ঢাকার মত ঘটনা চট্টগ্রামে হোক। আমাদের ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ে। কিন্তু বিপণিবিতানে দুটি রিজার্ভ ট্যাংক রয়েছে। সেটা দিয়ে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে। তবে আমরা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা প্রতিটি দোকানে ফায়ার এক্সটিংগুইশার বসাবো।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘চট্টগ্রামের টেরিবাজার, নিউমার্কেট, তামাকুমন্ডি লেন, জহুর হকার্স ও শপিংমলগুলোতে দফায় দফায় চিঠির মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে সজাগ করেছি আমরা। গত এক সপ্তাহে এসব প্রতিষ্ঠানে আমরা ভিজিট (পরিদর্শন) করেছি। কিন্তু তারপরও আমরা তাদের কাজে কোনো পরিবর্তন দেখিনি। অধিকাংশ মার্কেটে ব্যবসায়ীদের গুদাম রয়েছে। অনেক মার্কেটে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা নেই, ইমারজেন্সি এক্সিট (তাৎক্ষণিক বের হওয়ার পথ) ব্যবস্থা নেই। সব মিলিয়ে এখনো প্রায় মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের শুরুতেই ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও সরু গলি ও জলাধার না থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার বেশ সময় লাগে। ফলে বিভিন্ন মার্কেট বা শপিংমলগুলোতে আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে। এতে করে অধিকাংশ পণ্যই আগুনে পুড়ে যায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App