×

সারাদেশ

তীব্র তাপপ্রবাহ, যশোরে গলে যাচ্ছে মহাসড়কের বিটুমিন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:০৭ পিএম

তীব্র তাপপ্রবাহ, যশোরে গলে যাচ্ছে মহাসড়কের বিটুমিন

ছবি: ভোরের কাগজ

তীব্র তাপপ্রবাহ, যশোরে গলে যাচ্ছে মহাসড়কের বিটুমিন

ছবি: ভোরের কাগজ

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে যশোরের মানুষের জনজীবন। অতিরিক্ত এ তাপমাত্রায় যশোর শহরের মহাসড়কের ধর্মতলা ও পালবাড়ি খয়েরতলা মহাসড়কের বিটুমিন গলে যানবাহন চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে উঠছে। গত তিন দিন ধরে যশোর ও তার আশপাশের এলাকায় ৩৯ দশমিক দুই থেকে ৪১ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এ তাপমাত্রা আরো কয়েকদিন এমন তীব্রতায় থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ দিকে, মহাড়কের বিটুমিন গলে যাওয়া ব্যাপারে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, পালবাড়ি খয়েরতলা এলাকার রাস্তা পাঁচ-সাত বছর আগের তৈরি। সড়কে সাধারণত দুটি গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। আগে ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রি তাপমাত্রার জন্য সড়কে ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হতো। পরে গবেষণা করে বেশি তাপমাত্রা সহনশীল ৬০-৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এই গ্রেডের বিটুমিনের দামও বেশি।

অন্যদিকে, অস্বাভাবিক এই গরমে ডায়রিয়া ও হিট স্ট্রোকসহ পেটের নানা ধরনের পীড়া দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ৩টা নাগাদ এ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছিল। তীব্র এ গরমে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

যশোর বিমানবন্দর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটি আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য মতে, গত কয়েকদিন ধরেই যশোরে তাপমাত্রার পারদ ৩৯ থেকে ৪০-৪১ ডিগ্রিতে বিরাজ করছে। দুপুর ২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ৩৪ শতাংশ। দুপুর ৩টা নাগাদ এ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াই।

তীব্র এ গরমে কাজের সন্ধানে ঘরের বাইরে আসা শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেককে গাছ তলায় অবস্থান নিয়ে বিশ্রাম নিতে দেখে গেছে। শহরে কোথাও একটু গাছের ছায়া পেলে অনেক রিকশা চালক হুড তুলে বিশ্রাম নিচ্ছেন। কাঠালতলা মোড়ে কাঁঠাল গাছের নিছে বিশ্রাম নেয়া রিকসা চালক জাকির বলেন, ‘রোদ তো না, যেন আগুনের হল্কা বের হচ্ছে। বাইরে দুই চার মিনিট থাকা যাচ্ছে না। খুব তেষ্টা পাচ্ছে। শরীর জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে।’

এলাকার মুদি দোকান গুলোতেও সকালের দিকে কেনাকাটা হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনের উপস্থিতি কমতে থাকে। তাপমাত্রা এতো বেশি যে কোনো কোনো দোকানে দুটো ফ্যান চালিয়ে শরীর জুড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, এই গরমে সব বয়সী মানুষের ডায়রিয়াসহ পেটের নানা ধরনের পীড়া দেখা দিতে পারে। বয়স্ক যারা তাদের হিট স্ট্রোক হতে পারে। এ সময় যতদূর সম্ভব রোদে না বের হওয়া ভালো। শ্রমজীবী মানুষকে তো আটকে রাখা যাবে না। তাদের জন্যে পরামর্শ, সকাল সাড়ে দশটা ও বিকেলের দিকে যেন তারা কাজ করেন। বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার বিশেষ করে ডাব, ইফতারে ভাজা পোড়া খাবার পরিহারের পরামর্শ দেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App