×

সারাদেশ

হাওড়াঞ্চলে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদবাজার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৩ এএম

হাওড়াঞ্চলে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদবাজার

ছবি: সংগৃহীত

ঈদ কড়া নাড়ছে হাওড়ের জেলা সুনামগঞ্জে। অন্যদিকে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা। সব মিলিয়ে হাওড়বাসী এখন ধানকাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। বিগত বছরগুলোতে রোজার শুরুতেই পৌর শহরসহ জেলার ১১ উপজেলার ছোট-বড় ৫০টি গ্রামীণ হাট-বাজারে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকতেন হাওড়বাসী। কিন্তু এ বছর রমজানের শুরুতে হাওড়ের ধানকাটা এবং হাওড় এলাকায় চৈত্র মাসে হাওড়াঞ্চলের লোকজনের কাছে তেমন কোনো টাকা-পয়সা না থাকায় রোজার শুরুতে বেচাকেনা শুরু না হলেও শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে হাওড়াঞ্চলের ঈদ বাজার।

গতকাল বুধবার দুপুরে সরজমিন সুনামগঞ্জের হকার্স সমবায় মার্কেট, মধ্যবাজার, ট্রাফিক পয়েন্ট নেজা প্লাজা, লন্ডন প্লাজাসহ শহরের আধুনিক বিপণি বিতান নোঙর, মিরর, মেনজক্লাব, রিচম্যানসহ শহরের সবগুলো বিপণি বিতানে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এ ছাড়াও ফুটপাতে বসা হরেকরকম ঈদ পণ্য নিয়ে বসা দোকানিদের দোকানেও বেচাকেনা বেড়েছে বলে জানিয়ছেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, নিন্ম ও মধ্যবিত্তারই আমাদের এখানে কেনাকাটা করতে আসে। রোজার শুরুতে বেচাকেনা অনেক কম ছিল। এখন বেচাকেনা বেড়েছে।

এদিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার অন্যতম বাণ্যিজিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজার, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর, ধর্মপাশা উপজেলার গ্রামীণ ছোটবড় হাটগুলোতেও জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। কাপড়, জুতা, কসমেটিক্সসহ প্রয়োজনীয় দোকানগুলোতে এখন পুরোদমে চলছে ঈদের বেচাকেনা। ঈদসামগ্রীর সবকিছুই দাম কিছুটা বাড়লেও ক্রেতারা সাধ্যানুযায়ী তাদের পরিবার-পরিজনের জন্য কিনছেন পছন্দের কাপড়সহ ঈদসামগ্রী।

দোজা মার্কেটর মোয়াজ ফ্যাশনে গিয়ে কথা হয় শহরের আলীপাড়ার রুমা আক্তারের সঙ্গে। তিনি এসেছেন পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করতে। এ প্রতিবেদককে বলেন, সব পণ্যের দামই আগের তুলনায় কিছুটা বেশি। কোনো কোনো কাপড়ে ২০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। তবুও কেনাকাটা করছি। বছরের এই একটা ঈদেই পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করতে হয়। বিশেষ করে বাচ্চা এবং প্রবীণদের জন্য।

ট্রাফিকপয়েন্টের মৌ ফ্যাশনে গিয়ে কথা হয় ক্রেতা জাকির হোসেন মিয়াজীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সবার জন্যই কেনাকাটা করেছি। অন্য বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি হলেও কেনাকাটা করেছি। লন্ডন প্লাজায় খন্দকার ফ্যাশনে কথা হয় ক্রেতা আবুল কাসেমের সঙ্গে তিনি বলেন, গেল বছরের তুলনায় এ বছর দাম কিছুটা বেশি হলেও বাবা, মা ভাই, বোন, ছেলে, মেয়েসহ পরিবারের সবার জন্যই কেনাকাটা করেছি।

প্রিয়াঙ্গন মার্কেটে কথা হয় টাচ কসমেটিক্সের স্বত্ত্বাধিকারী শাহ্ আজমান তারেকের সঙ্গে। তিনি জানালেন, বেচাকেনা রমাজানের শুরুতেই যে পরিমাণ ছিল তাতে হাতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। ঈদ উপলক্ষে কসমেটিক্সসহ বিভিন্ন প্রকার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মাল তুলেছিলাম দোকানে। আশা করি শেষ পর্যন্ত বেচাকেনা ভালোই হবে।

রমিজ বিপনীর আলম সু স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী নুর আলম বলেন, বেচাকেনা বেড়েছে। বেশি বিক্রি হচ্ছে বাচ্চাদের জুতো। বড়দের জুতো বিক্রি হচ্ছে, তবে কম। দোজা মার্কেটের শাওন গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী শাওন আহমেদ জানান, এ বছর মেয়েদের পোশাকের মধ্যে সারারা, গাড়ারা। তবে এ বছরের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় ‘নাইরা’। এর ডিজাইনটি ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App