×

সারাদেশ

গোমস্তাপুরে ভূমি সেবায় এসেছে পরিবর্তন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ০২:১৩ পিএম

গোমস্তাপুরে ভূমি সেবায় এসেছে পরিবর্তন

ছবি: মো. আবদুস সালাম তালুকদার, গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস সেবায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। পূর্বে যেখানে দালাল দ্বারা বেষ্টিত ছিল এ ভূমি অফিস। আজ সেখানে দালাল ও দুর্নীতিমুক্ত। সময়ের ব্যবধানে এসেছে আমূল পরিবর্তন। এক সময় যেখানে জমি খারিজ বা নাম জারির জন্য সাধারণ জনগণকে ঘুরতে হতো মাসের-পর-মাস। আজ সেখানে ২১ দিনের ব্যবধানে পাওয়া যাচ্ছে নাম খারিজের কাগজ।

এছাড়া প্রবাসীদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা, তারা মাত্র ৭ দিনের মধ্যে তাদের নামজারী জমাভাগের কাগজপত্র হাতে পাচ্ছেন। পূর্বে নাম খারিজের আবেদন করার ২৮ দিন পরে জানা যেতো কোন কাগজে সমস্যা আছে কিনা বা আরও তথ্য সম্বলিত কি কি কাজগ লাগবে সেই সকল তথ্য এখন আবেদন করার দিনেই পাওয়া যাচ্ছে।

গোমস্তাপুর উপজেলা আয়তনের দিক থেকে ৩২৮.১৩ বর্গকিলোমিটার হওয়ায় এটি অনেক বড় একটি উপজেলা এর জনসংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার ১২৩ জন। জনসংখ্যা একদিকে যেমন অনেক বেশি তেমনি ভূখন্ডের পরিমাণের দিক থেকেেও কম নয়। এ উপজেলার বড় একটা অংশ বিলঞ্চল জমিজমা বিষয়ক সমস্যা যেন কোন ভাবেই পিছন ছাড়ে না। যদিও এ উপজেলায় দীর্ঘ দিন যাবত সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদটি শূন্য রয়েছেন।

আর এ সকল বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহকারী কমিশনার ভূমি (অ. দা.) আসমা খাতুনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন রকম সব অভিনব পদ্ধতি। যা ইতি মধ্যে তাক লাগিয়েছেন উপজেলাবাসীসহ দেশের বিভিন্ন মানুষের কাছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ও সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে এবং দ্রুত ভূমি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলার রহনপুর পৌর ভূমি অফিসসহ ৮টি ভূমি অফিসে সেবা প্রদান করে আসছেন।

অনলাইন পদ্ধতিতে মোট ৮টি ভূমি অফিসের সাথে যোগাযোগ বজায় রেখে সমাধান করা হচ্ছে জমি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান। এছাড়াও দালাল থেকে সাধারণ জনগনকে রক্ষা ও ভোগান্তির হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ভূমি অফিসের কার্যলয়ের চারিদিকে পর্যবেক্ষণের জন্য রয়েছে সিসি ক্যামরা।

অনলাইনে মিসকেসের শুনানি গ্রহণ, দীর্ঘ ২৮ দিন অপেক্ষার পর নামজারী আবেদন তথ্য ঘাটতি/বিভ্রাটের কারণে বাতিল হলেও সেবাগ্রহীতার সময় ও শ্রম অপচয় হয়। এই সমস্যা থেকেও উত্তরণে নিয়েছেন নতুন উদ্যোগ। আবেদন গ্রহণের সময়ই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে আবেদনকারীকে। আর এ সকল সেবামূলক কার্যক্রমে প্রত্যেক্ষভাবে ভূমি অফিসের স্টাফদের দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহকারী কমিশনার ভূমি ( অ. দা.) আসমা খাতুন।

পরবর্তীতে হোল্ডিংয়ে আবেদিত জমির সঠিকতা পাওয়া গেলে ২১ দিনের মধ্যেই নামজারী কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। এমন ধরনের বিভিন্ন উদ্যোগে আজ গোমস্তাপুর উপজেলার সাধারণ জনগণ আস্থার প্রতীকী হিসাবে চিহ্নিত হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহকারী কমিশনার ভূমি (অ. দা.) আসমা খাতুন।

এ বিষয়ে রহনপুর পৌর এলাকার সেবাগ্রহীতা মো. আজিজুল বলেন, আমি গত মাসে একটা খারিজন করতে দিয়েছিলাম আমি তা ২০ কার্যদিবসে পেয়েছি। এই অল্প সময়ে এই সেবা পেয়ে আমি অনেক খুশি।

রহনপুর ইউনিয়নের আরেক সেবাগ্রহীতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি গত মাসে একটা খারিজ করতে দিয়েছিলাম আমি তা ১৮ কার্যদিবসে পেলাম। জমি-জমার বিষয়ে সমাধান করার বিষয়টি এক সময় অনেক জটিল এবং সময় সাপেক্ষে ছিলে। কিন্তু আজ তা অনেকটাই সহজ হয়েছে। তাছাড়া এখন কোন দালালের পাদচারণ নেই। কোন উৎকোচ দিতে হয় না। তিনি ভূমি অফিসের এই সন্তোষজনক সেবা পেয়ে ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহকারী কমিশনার ভূমি (অ. দা.) আসমা খাতুন জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারি সেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে গোমস্তাপুর উপজেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি আগামীতেও এই সেবা অব্যহত থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App