চুলার মাটির চেয়েও নরম খোয়া সড়কে!
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৪৪ পিএম
ছবি: ভোরের কাগজ
পা দিয়ে পাড়া দিলেই গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে ইট। সড়কে দেয়া খোয়ার চেয়ে চুলার মাটিও অনেক ভালো। রাস্তায় ব্যবহৃত সেই ইটের খোয়া চুলার মাটির চেয়েও নরম। এতে শুধু ইট গুঁড়ো হচ্ছে না, এর সঙ্গে ভেঙে চুরমার হচ্ছে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার চক্রতলা-ভরনপাড়া-চশই এলাকার মানুষের বহুদিনের স্বপ্ন।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সরেজমিনে গেলে সড়কটির সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ কাজের মান নিয়ে এমন অভিযোগ করেন ওই এলাকার বাসিন্দা ভরপাড়া গ্রামের জহির ভুইয়া ও ষাটোর্ধ আয়েতালি।
মারুকা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার এ সড়কটিতে আয়েতালীর মতো অনেকেই অভিযোগ করেন, রাস্তা তৈরির নামে এখানে চলছে পুকুর চুরি। নিম্নমান ও নম্বরবিহীন এবং রাস্তার পুরনো এসব ইটের খোয়া ব্যবহার করছে ঠিকাদার। আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন চোখের সামনে ভেস্তে যাচ্ছে দেখার কেউ নেই।
তারা জানান, সড়কটি নিম্নমানের ইট ব্যবহার নিয়ে বাধা দিলেও শুনছেন না ঠিকাদারের লোকজন। জাহাঙ্গীর নামের এক পথচারী জানান, রাস্তার কাজ চলছে অত্যন্ত ঢিলেঢালাভাবে। তারপর আবার দেয়া হচ্ছে নিম্নমানের খোয়া, যা চুলার মাটির চেয়েও নরম। পা দিয়ে চাপ দিলেই ভেঙে যায়। আমাদের এলাকার চুলার মাটিও এি খোয়ার চেয়ে ভালো।
অটোরিকশা চালক সুমন বলেন, আমাদের দুর্দশা দূর করতে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারের চুরির কারণে আমরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত হবো। নম্বরবিহীন ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তার কাজ চলছে । এ রাস্তা বেশি দিন টিকবে কীভাবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
মারুকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম শাজাহান বলেন, নিন্মমানের ইট ব্যবহারের বিষয়টি ঠিকাদারের লোকজনকে একাধিকবার বললেও শোনেনি। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্টান এসএস এন্টারপ্রাইজের মালিক আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করলে এবিষয়ে পরে কথা বলবে বলে জানান।
দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী খন্দকার আফসার উদ্দিন বলেন, চক্রতলা- চশই সড়কটি প্রায় ৬৫ লাখ ব্যয়ে সংস্কার কাজ চলছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে লোক পাঠিয়েছি, সত্যতা পেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।