×

সারাদেশ

বিস্তীর্ণ মাঠজুরে সবুজ-হলুদের সমারোহ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:১৯ পিএম

বিস্তীর্ণ মাঠজুরে সবুজ-হলুদের সমারোহ

ছবি: ভোরের কাগজ

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে সবুজ-হলুদের সমারোহ। রোদ আর হিমেল বাতাসে উপজেলার মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে ধানের শীষ। কৃষি বিভাগ বলছে, উপজেলার মাঠে ৫০ শতাংশ ধান সবুজ বর্ণ থেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে, আর কয়েক দিনের মধ্যেই কৃষকেরা মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলতে পাড়বে। তাই বোরো ধানের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন আত্রাইয়ের কৃষকেরা। এদিকে ধান কাটার আগের মুহূর্তে ধানের শীষ পরিচর্যা করছে উপজেলার অনেক কৃষকেরা। কে কার আগে ফসল কাটতে পারে এটি তার অন্যতম কারণ। উপজেলার সাহাগোলা, মনিয়ারী, হাটকালুপাড়া,বিশাসহ ৮টি ইউনিয়নে মাঠে বিভিন্ন ধরনের ধান চাষ হয়েছে। তার মধ্যে ব্রি-৯০ জাতের ধানের চারা কৃষকেরা এ বছর বেশি আবাদ করছে বলে জানাই উপজেলা কৃষি বিভাগ।

সাহাগোলা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের কৃষক জালাল হোসেন বলেন,আমাদের মাঠে অধিক অংশে ধান পাকতে শুরু করেছে। এই ধান দেখে ফলন ভালো হবে বলে আমার মনে হচ্ছে। আর কয়েকদিন যদি ভালো রোদ হয় তাহলে কয়েকদিনের মধ্যে আমরা ফসল ঘরে তুলতে পাড়ব।

বিশা ইউনিয়নের ভাঙ্গাজাঙ্গাল গ্রামের কৃষক জামাল হোসেন জানান, আমাদের মাঠ অন্যান্য মাঠের চেয়ে একটু নিচু তাই আমরা সবার আগে ধান লাগাই, আবার আগেই ধান কাটি। আমাদের মাঠের ধান আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অনেকেই কাটা শুরু করবে।

পাঁচুপুর ইউনিয়নের মেল্লাপাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক বলেন, আমরা জমি থেকে আলু তুলে তারপর ব্রি-২৯ জাতের ধান লাগাইছি। আমাদের ধানে এখন শীষ বাহির হয়েছে, আশা করছি এবছর আমরা ভালো ফলন পাবো।

হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের বান্দাইখাড়া গ্রামের কৃষক ভবেশ পাল বলেন, আমি এবছর ১২ বিঘা হাইব্রিড জাতের ধান লাগিয়েছি, আমার ধান অনেক ভালো হয়েছে, কিন্তু সামনে আসছে কালবৈশাখী ঝড় এই ঝড়ে যদি কোন ক্ষতি না হয়, তাহলে আমি বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ মন করে ধান পাবো বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে ধানে কোন রোগবালাই নেই বল্লেই চলে। উপজেলার সকল ইউনিয়নে ধান পাকতে শুরু করেছে। তার মধ্যে মনিয়ারী ইউনিয়নের মাঠের ধান সবার আগে কাটা শুরু হবে। চলতি বছরে উপজেলায় বোরো ধানের মধ্যে হিরা-২,ব্যাবিলন-২,ব্রি-৯০,ব্রি-২৮,ব্রি-২৯ জিরাসহ আরো অনেক জাতের ধান কৃষকেরা আবাদ করছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার রায় বলছেন, উপজেলার সকল মাঠে ধান পাকতে শুরু করেছে, এবার বড় ধরনের ঝড় বা শীলা বৃষ্টি না হলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক ভাবে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। কাজেই কৃষক সঠিক সময় ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবে আশা করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App