×

সারাদেশ

সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের ঝাউবাগান কেটে সাবাড়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:২৮ এএম

সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের ঝাউবাগান কেটে সাবাড়

টেকনাফের সাবরাং এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম পার্কের অভ্যন্তরের ঝাউবাগানের শত শত গাছ কেটে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। দিনের পর দিন এসব গাছ কাটা হলেও দায় নিতে সন্মত নন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি সরজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা বাগান থেকে ঝাউগাছ কাটার এই ভয়াবহ চিত্র।

জানা যায়, সরকার এক হাজার ৪৭ একর জমি নিয়ে টেকনাফের সাবরাং একাকায় মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে এখানে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার কাজ শুরু করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে এখানে অফিস, মাটি ভরাট ও কিছু রাস্তাও তৈরির পাশাপাশি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর এই ইকোনমিক জোনে উপকূলীয় বন বিভাগের লাগানো বেশ কিছু ঝাউ গাছের বাগান আকর্ষণ ধরে রেখেছে এলাকাটির।

সম্প্রতি ওই এলাকায় ঝাউ গাছ কাটার হিড়িক পড়েছে। ঝাউগাছের শত শত কাটা গোড়ার অংশ জানান দিচ্ছে উপকূলী বাগান সাবাড় করার। গত ৬ এপ্রিল বিকালে সরজমিন এক্সক্লুসিভ জোনে গিয়ে দেখা যায়, ঝাউ গাছের বাগান সাবাড় হয়ে গেছে। এখনো চিহ্ন হিসেবে কিছু গাছের গোড়া বিদ্যমান আছে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র দাবি করেছে, এক্সক্লুসিভ জোনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও গার্ড মিলে মাটি ভরাটের ফাঁকে কৌশলে ঝাউগাছগুলো বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে কথা হয় সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে কর্মরত সাইট সহকারী প্রকৌশলী মো. নাবিউলের সঙ্গে। তিনি বলেন, অফিস টাইমে এখানে কর্মকর্তা বা লোকজন থাকেন। সাপ্তাহিক ছুটির সময় ৩ জন সিকিউরিটি স্টাফ থাকেন। ছুটির ফাঁকে হয়তো স্থানীয় লোকজন এই ঝাউগাছ কেটে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেননি এই কর্মকর্তা।

টেকনাফ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আলহাজ ছৈয়দ হোছাইন বলেন, উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনি এই ঝাউবাগান প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধী ঢাল হিসেবে কাজ করে। এসব সাবাড় করা মানেই উপকূল ধ্বংস করা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App