×

সারাদেশ

ইউএনওর কাছে বিচার চেয়ে হতাশ হয়ে ফিরলেন ছাত্রীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৩ পিএম

ইউএনওর কাছে বিচার চেয়ে হতাশ হয়ে ফিরলেন ছাত্রীরা

ছবি: ভোরের কাগজ

নাটোরের গুরুদাসপুর রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী কলেজের পিয়নের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস চত্বরে প্রবেশ করে। কিন্তু ইউএনও শ্রাবণী রায় অফিসে উপস্থিত থেকেও তাদের সমস্যার কথা শোনেন নি। এমনকি তারা দীর্ঘ সময় ইউএনও অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও তাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। পরে হতাশ হয়ে ফিরে যান ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে মিথিলা,মরিয়ম, মৌ ও সুস্মিতাসহ ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় তাদের কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। শিক্ষার্থীরা তার কাছে গিয়েছিল কলেজের শাহাদৎ হোসেন নামে একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (পিয়ন) বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে বিচার চাইতে। আমরা বার বার তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তিনি অফিসে থেকেও দেখা করেননি, এমকি আমাদের অভিযোগের কপিটিও গ্রহণ করেননি। আমরা রোজা রেখে দীর্ঘ সময় অফিসের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। তিনি আমাদের অভিযোগ না নিক একটু কথা বলেও শান্তনা দিতে পারতেন। অথচ উনিই (ইউএনও) আমাদের কলেজের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন আমি বিপদে-আপদে সব সময় তোমাদের পাশে আছি। আমার ফোন নম্বর রেখে দাও।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, ওই কলেজের শাহাদৎ হোসেন (৩২) নামের একজন পিয়ন দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীর সঙ্গে কলেজে দায়িত্ব পালনকালে নিজের বিবাহিত স্ত্রী থাকা সত্বেও প্রেমের নামে পরকিয়ায় জড়ায়। শুধু ওই ছাত্রীই নয় একাধিক ছাত্রীর সঙ্গেও তিনি অশ্লীল আচরণ করেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই পিয়নের স্ত্রী সীমা খাতুন ও কলেজের ছাত্রীদের অভিযোগের কারণে তার বিরুদ্ধে ৫সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। কমিটি পিয়ন সাহাদতের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা পান।

কলেজের অধ্যক্ষ মাহাতাব উদ্দিন জানান, কলেজ গভার্ণিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায়ের কাছে যাবতীয় নথি দাখিল করে তার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে পিয়ন সাহাদতের বেতন-ভাতা সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরো জানান, শাহাদত তার স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন মামলায় জামিন পেয়ে জোড় করে কলেজে প্রবেশ করলে কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই পিয়নকে তাড়িয়ে দিয়ে তার বাইকে তালা মেরে দেয়। আমি ছাত্রীদের সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাদেরকে শান্ত করি। সেই মোতাবেক পিয়ন সাহাদতের বেতন সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় মুঠোফোনে বলেন, আমার কাছে বলা হয়েছে স্মারক লিপি, এ কারণে আমি নেই নি। অভিযোগ হলে নিতাম। তার পরেও অধ্যক্ষ সাহেবের সঙ্গে বসে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App