×

সারাদেশ

পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ পরিবেশ দপ্তরের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:২০ পিএম

পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ পরিবেশ দপ্তরের

ছবি: ভোরের কাগজ

পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ পরিবেশ দপ্তরের

ফেনীর সোনাগাজী ওয়াপদা কলোনির অভ্যন্থরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত কার্যালয়ের চতুর্পাশে পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, ছড়াচ্ছে রোগ জীবাণু। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদ দেখে ২০২১ সালের ১লা নভেম্বর স্বপ্রণোদিত হয়ে জেলা পরিবেশ দপ্তরকে তদন্তের নির্দেশ দেন ফেনী পরিবেশ বিষয়ক বিশেষ আদালতের বিচারক।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে ফেনী পরিবেশ দপ্তর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সোনাগাজী পৌর কর্তৃপক্ষ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ এর বিধি-১০ অনুসরণ না করে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫এর ০৯ধারা লঙ্ঘন করছেন।

সরজমিনে দেখা যায়, সোনাগাজী ওয়াপদা কলোনির অভ্যন্থরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত কার্যালয়ের চতুর্পাশে পৌরসভার বিশাল ময়লার ভাগাড়। গত ৫বছর যাবৎ সেখানে ময়লা ফেলছে পৌরসভা। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের বাধার পরও পৌর মেয়রের নির্দেশে সব ধরনের গৃহস্থলি ও অন্যান্য বর্জ্য ফেলেন পৌরসভা পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। এতে ব্যাপকভাবে আশপাশের এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ চরগনেশ ও তুলাতুলি গ্রামে ছড়াচ্ছে নানা ধরনের রোগ জীবাণু। কলোনির সহস্রাধিক ফলজ ও বনজ গাছ মারা গেছে।

ওয়াপদা কলোনির বাসিন্দা জামশেদ আলম বলেন, আমার বাসার পাশে এভাবে একটি আবাসিক এলাকায় ময়লা ফেলে পৌরসভা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আমরা দরজা জানালা খুলতে পারিনা। শিশুরা নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বারবার বলার পরও মেয়র আমাদের উপর জুলুম করছেন। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো ?

পাশ্ববর্তি বাড়ির বাসিন্দা একরামুল হক বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। আমরা গ্রাম ছেড়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় পাচ্ছিনা। এ ব্যাপারে পৌরসভার মোজাম্মেল হক বলেন, পৌরসভার ময়লা ডাম্পিংয়ের বিকল্প জায়গা না থাকায় ওয়াপদার পরিত্যাক্ত জায়গায় রাখা হচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতি হওয়ায় ময়লাগুলো সরানোর জন্য মেয়রকে বারবার লিখিতভাবে জানিয়েছি।

তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. শাওন শওকত বলেন, আবাসিক এলাকায় ময়লা আবর্জনা ডাম্পিং করে সোনাগাজী পৌর কর্তৃপক্ষ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করছেন। এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা অনুসরণ করছেন না।

তিনি আরো বলেন, সরজমিন তদন্ত করে দেখলাম, ময়লা আবর্জনা ফেলে ওই আবাসিক এলাকার পরিবেশের ক্ষতিসাধন ও জনসাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ানোর সত্যতা পাওয়া গেছে। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, ময়লা ডাম্পিংয়ের জন্য বিকল্প জায়গা পেলে শীঘ্রই সরানো হবে। বাংলাদেশ মানবাধিকার সম্মিলনের চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম নান্টু বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করে পরিবেশ বিপর্যয় এবং জনসাধারণকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রাখায় পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App