×

সারাদেশ

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন বন্ধ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৭ পিএম

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন বন্ধ

ছবি: ভোরের কাগজ

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন বন্ধ
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন বন্ধ

পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ২৩ দিন ধরে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। খনির উৎপাদনশীল ১৩০৬ নম্বর কোল ফেইসে উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়।

এরপর ১১১৩ নম্বর ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন করা হবে। নতুন এই ফেইসটি জটিল। ফলে ১৩০৬ নম্বর ফেইসে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১১১৩ নম্বর ফেইসে স্থাপন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে প্রায় তিন মাস সময় লাগবে।

এদিকে, কয়লার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১নং ও ২নং ইউনিট দুটি বন্ধ রেখে ৩নং ইউনিট চালু রেখে গড়ে প্রতিদিন ১৭০-১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার ভোরের কাগজকে জানান, খনি ভূ-গর্ভে ১৩০৬ নম্বর কোল ফেইস থেকে কয়লা উৎপাদন শুরু হয়েছিল গত বছরের ২৭ জুলাই। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই ফেইসে উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যায়। ফলে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে খনির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। একটি ফেইসের কয়লা উত্তোলন শেষ হলে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সরিয়ে নিয়ে নতুন ফেইসে স্থাপনের জন্য স্বাভাবিকভাবে ৪০-৪৫ দিন সময় লাগে। এছাড়া ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ক্রটিবিচ্যুতি ধরা পড়লে মেরামতের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। তবে নতুন ১১১৩ নম্বর ফেইসটিতে বড় ধরণের বোরহোল থাকায় সময় বেশি লাগবে। আগামী মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে ১১১৩ নম্বর ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে, পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক মোবাইলফোনে ভোরের কাগজকে জানান, বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লার উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একটি ইউনিট চালু রেখে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন ১৭০ থেকে ১৮০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে দৈনিক কয়লা লাগছে প্রায় ২ হাজার টন। ১৯ মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ ছিল। এই কয়লা দিয়ে আগামী মে মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু রাখতে হবে। জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেলে পুরো উত্তরাঞ্চল বিদ্যুৎহীন কিংবা লো ভোল্টেজের কবলে পড়বে বলে তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৫ হাজার ২০০ টন কয়লার প্রয়োজন হয়। তবে তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে চালানো হয় না। কয়লার সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দুটি ইউনিট চালু রেখে ৩০০ থেকে ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App