×

সারাদেশ

মোরেলগঞ্জে ঘরে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলা, শ্লীলতাহানির অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩, ০৫:১৮ পিএম

মোরেলগঞ্জে ঘরে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলা, শ্লীলতাহানির অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের পশ্চিম জিউধরা গ্রামে বুধবার রাতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে সুলতান শেখের বসতঘরে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটসহ ঘরের অভ্যন্তরে থাকা নারীদের ব্যাপক মারধর করে ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়।

এতে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন ফরিদা (৩০), রহিমা (৪০), কুরছিয়া (৩০), সোলায়মান (৩৫), একামনি (১৭), শারমিন (১৬), বৃষ্টিসহ (১৮) ঘরে থাকা আরো তিন-চারজন। গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচ মাসের গর্ভবতী কুরছিয়াকে খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই পরিবার।

ভুক্তভোগী ওই পরিবারের একাধিক সদস্য জানান, ৮ মার্চ বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে অসুস্থ অবস্থায় সুলতান শেখ মারা গেলে খবর পেয়ে চট্টগ্রামে থাকা তার একমাত্র ছেলে সোলায়মান (৩৫) তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে চারটার দিকে বাড়ি ফিরেন। তার ছয় বোন ও তাদের স্বামী-সন্তানেরাও আসেন। সন্ধ্যার দিকে বাবা সুলতান শেখকে দাফন করার পর একমাত্র ছেলে সোলায়মান ঘরে ফেরেন।

এখনো বাবার মরদেহের খাটিয়াটাও ফেরত দেওয়া হয়নি, উঠানে পড়ে আছে। সন্ধ্যা গড়িয়ে সাতটা বাজতে না বাজতেই হঠাৎই গরীব এই পরিবারের ওপর নেমে আসে অন্য এক মহাবিপদ। পূ্র্বশত্রুতার জের ধরে দুঃসম্পর্কের আত্মীয় পার্শ্ববর্তী বারইখালী ইউনিয়নের গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের আবু হাওলাদারের ছেলে আসলাম ও আসলামের মামা আবু বকর হাওলাদার আরও পাঁচ-ছয়জন সন্ত্রাসীকে সঙ্গে নিয়ে ঘরের মধ্যে অতর্কিত হামলা করে। হামলার বিষয়ে ওই পরিবারের আহত এক সদস্য ফরিদা বেগম জানিয়েছেন, তার বাবার মরদেহ দাফন করে ঘরে আসতে না আসতেই আসলাম ও তার মামা আবু বকর আরো চার-পাঁচজন সন্ত্রাসী নিয়ে এসে প্রথমে আমার ভাই সোলায়মানকে ও পরে আমরা বাধা দিলে আমাদেরকে তারা বেধড়ক মারধর করে।

অপরদিকে, অভিযুক্ত আবু বকর মুঠোফোনে বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে মৃত সুলতান শেখের ছেলে সোলায়মানের কাছে তিন লাখ টাকা আমাদের পাওনা ছিল। সেই টাকা নিয়ে সে টালবাহানা করে সে ঘুরাতে থাকে এবং না দিয়ে পালিয়ে বেড়ায়। তার বাবার মৃত্যু খবর পেয়ে সে বাড়ি এসেছে এবং আবার সে পালিয়ে যেতে পারে বিধায় ওইদিন পুলিশ নিয়ে আমরা ওই বাড়িতে যাই। পরে তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় ও পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।

ঘটনার দিন কর্তব্যরত পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) জহির বলেন, আমাদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে সেখানে নেয়া হয়। আমরা ওই বাড়িতে ঢোকার আগেই সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে সেটি যেকোনোভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

মোরেলগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগকারী পাওনাদার আসলাম বহুদিনের পাওনা টাকার জন্য থানায় একটি অভিযোগ করলে বিষয়টি দেখার জন্য উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরকে বলা হয়। ওই বাড়িতে ওইদিন কেউ মারা গেছে, এ তথ্য আমাদের কাছে গোপন করা হয়েছিল। বিযয়টি দুঃখজনক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App