×

সারাদেশ

আলফাডাঙ্গায় গরুর খামার করে স্বাবলম্বী দুই সহোদর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৩, ০৩:৪৬ পিএম

আলফাডাঙ্গায় গরুর খামার করে স্বাবলম্বী দুই সহোদর

ছবি: ভোরের কাগজ

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি কথা নয়,কর্মের প্রমান করতে হয়। সভ্যতা গঠনে মানুষের ভূমিকা বিরল। দৃঢ় মনোবল, শ্রম আর সৎ ইচ্ছা শক্তি যে মানুষের ভাগ্যের পরির্বতন ঘটায় তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে গরুর খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সাকায়েত উল্লাহ্ ও সিফায়েত উল্লাহ্ নামে আপন দুই সহোদর। নিরলস প্রচেষ্টা ও মনোবল আজ তাদের সফলতার বাস্তব গল্প।

জানা গেছে, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কাতলাসুর গ্রামের মান্নান মোল্যার ছেলে সাকায়েত উল্লাহ্ (৩৩) ও সিফায়েত উল্লাহ্ (২৭)। সংসারের অসচ্ছলতার কারণে প্রথমে কৃষিকাজ করে পরিবারের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন তারা দুই সহোদর। ২০১৪ সালে একটি উন্নত জাতের গাভী দিয়েই খামারের কাজ শুরু করেন। অক্লান্ত পরিশ্রম আর সাহসের জোরে এরপর তাদের আর পিছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। পরিবারে স্বচ্ছলতা পূরণের জন্য সেই একটি গাভী থেকে তা আজ বাণিজ্যিক খামারে পরিণত হয়েছে। তাদের বাড়ির সামনে গড়ে তুলছেন বিশাল এই গরুর খামার। প্রায় ১০ বছরের মধ্যে কয়েক ডজনের গুরুর মালিক হয়েছেন তারা দুই সহোদর।

সরেজমিনে খামার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে খামারে উন্নত জাতের ছোট-বড় ২৭টি গরু রয়েছে। উন্নতমানের শেটে রেখে গরুগুলোকে লালন-পালন করা হচ্ছে। প্রতিটি গরুর মাথার ওপর ফ্যান রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে। মলমূত্র সহজেই পরিষ্কার করা যায়। প্রতিদিন খামারে দানাদার জাতীয় খাদ্যের জন্য খরচ হয় ৫-৬ হাজার টাকা। এছাড়াও গো-খাদ্যের পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করার জন্য বর্তমানে তারা ৩০ শতাংশ জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন। খামারে বর্তমান ১৫টি গাভী থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৪০-১৪৫ লিটার দুধ সংগ্রহ করছেন তারা। এসব দুধ ৬০-৬৫ টাকা লিটার দরে বাজারে বিক্রি করছেন।

স্বাবলম্বী সাকায়েত উল্লাহ ভোরের কাগজকে জানান, ‘প্রায় দশ বছর আগে একটি গরু দিয়ে আমরা দুই ভাই খামারের কার্যক্রম শুরু করি। বর্তমানে আমাদের খামারে ২৭টি গরু রয়েছে। প্রতিদিন বাজারে দুধ বিক্রি করে সব খরচ বাদেও দৈনিক ৩-৪ হাজার টাকা আয় হয়।’

স্থানীয়রা জানান, কঠোর নিষ্ঠা, পরিশ্রম, একাগ্রতা আর বাণিজ্যিক দিক পর্যালোচনা করে গবাদি পশু পালন করায় মাত্র এক দশকের মধ্যে দুই সহোদর সফল খামারি হতে পেরেছেন এবং এলাকাকে গবাদি পশু সমৃদ্ধ করে তুলেছেন।

জানতে চাইলে, আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইন ভোরের কাগজকে বলেন, ‘আলফাডাঙ্গা উপজেলার কাতলাসুর গ্রামের দুই সহোদরের গরুর খামারটি এলাকার একটি আলোচিত খামার। এই খামারে সফলভাবে গরু প্রতিপালন করে খামারি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তাদের খামারের সাফল্য দেখে এলাকার যুবকরা খামার ব্যবসায় আগ্রহ পাচ্ছে। পশুসম্পদ অধিদপ্তর থেকে খামারিদের সবধরনের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয়। তাদের খামারের সব গরুই উন্নত জাতের। আমরা প্রতিনিয়ত পশু হাসপাতাল থেকে তার খামারকে সহযোগিতা করে আসছি। নিয়মিত টিকা এবং ভিটামিন জাতীয় ওষুধ দিয়ে যাচ্ছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App