নওগাঁর আত্রাইয়ে এখনো পুরোপুুরি কাটেনি শীতের আমেজ। তবে বাজারে গেলেই চোখে পড়ছে গ্রীম্মকালীন ফল তরমুজ। আগাম জাতের তরমুজ কিনতে দোকানে ক্রেতা ভিড় এবং দর-কষাকসির দৃশ্য চোখে পড়লেও বিক্রি নেই বলছেন ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজার, স্টেশন বাজার, মির্জাপুর বাজার এলাকায় আগাম জাতের তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দামে।

ভবানীপুর বাজারে তরমুজ কিনতে আসা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শীতে তরমুজ বাজারে দেখাই যায় না, কেনার সময় খেয়ে দেখলাম স্বাদও তেমর ভালো না। তবে আমার নাতি তরমুজ খেতে অনেক ভালোবাসে তাই ৬ কেজি ওজনের তরমুজ ৫০ টাকা কেজি দামে কিনলাম। তরমুজ কিনতে আসা আরও একজন মুন্টু বলেন, বাজারে নতুন ফল এসেছে তাই লোভ সামলাতে পারলাম না কেনার চেষ্টা করলাম, কিন্তু দাম বেশি বলে কেনা হলো না।

আত্রাই স্টেশন বাজারে তরমুজ কিনতে আসা আরেক ক্রেতা বলেন, আমি সীমিত রোজগার করি বাজারে নতুন ফল দেখে কিনতে ইচ্ছা হলো, কিন্তু একটি তরমুজ কিনতে আমার লাগবে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। আমার তা কেনা সম্ভবনা, বাজারে তরমুজের দাম কম হলে হয়তো কিনে খেতে পারবো।

ভবানীপুর বাজারে ফল বিক্রেতা আমজাদ বলেন, আমি সারা বছর ফলের ব্যবসা করি, এখন বাজারে বিভিন্ন প্রকারের পেয়ারা, কুল বিক্রি হচ্ছে। আমি জানি চৈত্র মাসে তরমুজ বাজারে আসে, কিন্তু দেখি ফাল্গুন মাসেই এই ফল বিভিন্ন বাজারে অনেকে বিক্রি করেছে। তাই আমিও আগাম জাতের তরমুজ বিক্রি করছি। তবে এই আগাম জাতের তরমুজ দেশের বরিশাল এলাকায় হয়ে থাকে, সেই এলাকা থেকে এখানে আনতে খরচ একটু বেশি হয়, তাই এখন বাজারে তরমুজ ৪৫-৫০ টাকা কেজি দমে বিক্রি করতে হচ্ছে।

আত্রাই স্টেশন বাজারের ফল বিক্রেতা আব্দুল মজিদ বলেন, আমাদের অঞ্চলে তরমুজের আবাদ সে রকম হয় না। কয়েকটি এলাকায় আবাদটি হলেও এই সময় বাজারে আসে না। আমরা বরিশাল থেকে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করছি, এর স্বাদ ভালো থাকায় বাজারে চাহিদাও আছে। এক সপ্তাহ ধরে বিক্রি করছি, দাম একটু বেশি বলে বেচাকেনা সেভাবে জমে উঠেনি। তবে আশা করছি সামনে আর একটু গরম পড়বে এবং রমজান মাসও আসছে বেচাকেনা জমে উঠবে। এখন কেনার চেয়ে দেখার মানুষ বেশি।