×

সারাদেশ

বিয়ের দাবিতে অনার্স ছাত্রীর অনশন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৫২ পিএম

বিয়ের দাবিতে অনার্স ছাত্রীর অনশন

ছবি: ভোরের কাগজ

আশাশুনির খাজরায় বিয়ের দাবিতে অনার্স পড়ুয়া এক নারী ছেলে পক্ষের বাড়িতে দুই সপ্তাহ ধরে অনশনে রয়েছেন। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তিনি এখান থেকে কোথাও যাবেন না বলে জানিয়েছেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জানা যায়, যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার হাটগাছা গ্রামের সমীর কান্তি বৈরাগীর মেয়েরানী (ছদ্দ নাম) নামের এক নারী নিজের বিয়ের দাবি পূরণের জন্য খাজরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের গজুয়াকাটি গ্রামের সুবোল সরকারের পুত্র সমীরণ সরকারের বাড়িতে বর্তমানে অবস্থান করছেন।

অনশনরত নারী রানী জানান, ‘প্রায় তিন বছর আগে খুলনা বিএল কলেজে পড়াশুনাকালীন সমীরনের (অভিযুক্ত) সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পূর্ক গড়ে ওঠে। সেই থেকে আমাদের পরিচয়। এমনকি আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিক বার আমার বাড়িতে গিয়েছে। এখন আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখছে না। বাধ্য হয়ে আমি তার ঠিকানা খুজে চলে এসেছি’।

আরো অভিযোগ করে তিনি বলেন,‘সমীরন আমার সঙ্গে প্রতারনা করছেন। তার গ্রামের বাড়ির সঠিক ঠিকানা আমাকে কোন দিন দেয় নি। আমার মান-সম্মান সব শেষ করে দিয়েছে’।

প্রেমের সম্পর্কের কি কি প্রমাণ আছে এমন প্রশ্নের উত্তরে নারীটি মোবাইল ফোনে ফেসবুক মেসেঞ্জারে তাদের কথোপকথনের তথ্য (স্ক্রিনশট) ছাড়া আর কিছু দেখাইতে পারি নি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত সমীরন সরকারের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন নম্বরে কথা বলার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ থাকায় মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সমীরনের মা জানান,আমার ছেলে বাড়িতে নাই। সে কোথায় আছে কোন যোগাযোগ নেই। আমরা আমাদের ছেলের কাছে সব কিছু শুনেছি। সে বলেছে তার সঙ্গে আমার শুধু মাত্র বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সে কখনো তাকে বিয়ের আশ্বাস দেয়নি।

অভিযুক্ত সমীরনের মা কেঁদে কেঁদে বলেন, আমার স্বামী মানষিক ভারসাম্যহীন মানুষ। আমার ছেলেটাও পাশে নেই। আমার বাড়িতে অচেনা একটা মেয়ে। কখন কি হয় না হয় সেই ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছি।

প্রতিবেশী বিজন সরকার জানান, সমীরন সরকার আমাদেরকে জানিয়েছেন, মেয়েটির সঙ্গে আমি দেখা করব না। সে কেস করলে করুক। দেখা হলে কোটেই হবে।

এবিষয়ে ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসমত ঢালী জানান, ঘটনা শোনা মাত্রই আমি সমীরণের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ঐ নারীর কাছে বিস্তারিত শুনে তার অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সে রাজি হয় নি। তারপর আমি আর কিছু জানি না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App