×

সারাদেশ

ডিমলায় ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়ম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:৫৪ পিএম

ডিমলায় ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়ম

ছবি: ভোরের কাগজ

নীলফামারী ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নে ২০২২-২০২৩ ইং অর্থবছরে ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সদ্য প্রকাশিত ভিজিডির চুড়ান্ত তালিকা তৈরীতে অর্থের বিনিময়ে তালিকায় নাম সংযোজন করেন সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য দুলাল হোসেন। এতে বাদ পড়েন প্রকৃত দুস্থ, অসহায় ও পঙ্গুরা। ভিজিডি কার্ডের বিনিময়ে একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে হাজার হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।

অনলাইনে আবেদন করেও লটারীর নামে তালিকা তৈরী করে গরীব ও প্রকৃত দুস্থ্যদের বঞ্চিত করে বিত্তবান লোকজনেরা তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে এবং অসচ্ছল, অসহায়দের পরিবর্তে সম্পদ সম্পন্ন ব্যক্তিরাই ভিজিডি কার্ডের নামের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, অত্র ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য দুলাল হোসেন তার স্ত্রী রোকেয়া বেগমের নামসহ অপর ভাই বেলাল হোসেন, জালাল হোসেন, চাচাতে ভাই সাজু ইসলামের স্ত্রীদের নামে ভিজিডি কার্ড করে দেয়। তাদের প্রত্যেকের জমিজমাসহ পাঁকা দালান বাড়ি গরুর খামার রয়েছে। একই এলাকার সাধণা রানী- স্বামী ঝড়–লাল রায়, উষা রানী- স্বামী বুদ্ধদেব রায়, গোলাপী বেগম, স্বামী- জাহাঙ্গীর আলমসহ তালিকায় নাম থাকা ৩৯ জনের মধ্যে অধিকাংশ নামধারীদের প্রত্যেকের জমিজমাসহ পাঁকাবাড়ি ও গরুর খামার রয়েছে।

ইউপি সদস্য দুলাল হোসেনর স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে ভিজিডি কার্ডের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, মেম্বার মানষি (মানুষ) কি ভিজিডি কার্ড নেয়। রোকেয়া তো আমারে (আমার) নাম। আমি কোবার (বলতে) পাই (পারি) না। কার্ড হয়েছে কিনা মুই (আমি) কোবার (বলতে) পাই (পারি) না।

ইউপি সদস্য দুলাল হোসেন জানান, আমার স্ত্রী রোকেয়া বেগমের নাম দেওয়া আছে তবে আমার স্ত্রীর নামটা দেওয়াটা ভুল হয়েছে। আমার পাশের বাড়ির একজনকে উঠে (চাল উঠিয়ে) দিব বলে আমার স্ত্রীর নাম দিয়েছি। তিনি আরো জানান আমার সহোদর ভাই বেলাল হোসেন ও জালাল হোসেনের স্ত্রীর নাম দিয়েছি।

বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যেটা ফল্ট (ত্রুটি-বিচ্যুতি) পাব সেটা কাটি (কেঁটে) দিব অথবা ওটা লিখে নিয়া ওর পাশে কারা পাবার (পাওয়ার) যোগ্য তাকে দিব। তদন্ত কমিটি চুড়ান্ত যে লিস্ট (তালিকা) আমাকে দিয়েছে সেটা আমি চুড়ান্ত করেছি। কারণ মেম্বাররা দিছে (দিয়েছে) আমরা নিজেরাও একটু তদন্ত করেছি কিছু ফল্ট (ত্রুটি-বিচ্যুতি) হয়েছে। খালি শুধু এখানে হয় যে, না তার সব জায়গায় কিছু না কিছু। এখন ঐ ওয়ার্ডের মেম্বার ধরা খাক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পাইনি। যদি কোন উপকারভোগীর নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে উপজেলা কমিটি অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App